সর্বশেষ

আলীরাজ ও মৌসুমীকে শপথবাক্য পাঠ করালেন ইলিয়াস কাঞ্চন

122
Before post box 1

 

middle of post box 3

নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ ঘিরে জটিলতার অবসান হয়েছে। দীর্ঘ নয় মাস ধরে নানা নাটকীয়তার পর গত ২১ নভেম্বর আদালত আদেশ দিয়েছেন, জায়েদ খান নন, নায়িকা নিপুণই এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন। আদালতের আদেশের পর কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে দূরে থাকা শিল্পীরাও দূরত্ব ঘুচিয়ে নিলেন। সমিতির কার্যালয়ে এসে হাসিমুখে নিপুণকে বরণ করে নিয়েছেন। এছাড়া কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও অভিনেতা আলীরাজ। রবিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে শিল্পী সমিতির সাধারণ সভা। এতে দ্বন্দ্ব-বিরোধ ভুলে এসেছেন মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে জয়লাভ করা ডিপজল ও রুবেল-সহ অন্যরা। সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণের পক্ষ থেকে তাদেরকে আগে থেকেই চিঠির মাধ্যমে আহ্বান জানানো হয়েছিলো। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এফডিসিতে আসেন তারা এবং আনুষ্ঠানিকভাবে নিপুণকে বরণ করে নেন। এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রিয়াজ, অঞ্জনা, সাইমন, ইমন, জয় চৌধুরী, শাহনূর, কেয়া, জাদু আজাদসহ শিল্পী সমিতির অনেকেই। শপথ গ্রহণের পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে মৌসুমী বলেন, ‘ভালো লাগছে সবাইকে একসঙ্গে পেয়ে। সবকিছুর অবসান হলো, আমরা আবার সব এক হয়ে গেলাম।’ অন্যদিকে সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, ‘আজ অত্যন্ত ভালো লাগছে যে, সবাই আছে। এবং এটাই আমি চেয়েছিলাম। কিছু করতে না পারলে আমি কোনও দায়িত্ব নিতে চাই না। আমার খুব কষ্ট লাগছিলো যে, নয় মাস পার হয়ে গেছে, যতটুকু করার ইচ্ছে, তা করতে পারছিলাম না। একটা যন্ত্রণা, ক্ষোভ কাজ করেছে। আজ সেই যন্ত্রণার অবসান হয়েছে।’ মিশা-জায়েদ প্যানেলে নির্বাচন করে সহ-সভাপতি পদে জিতেছেন ডিপজল। দ্বন্দ্ব ভুলে তিনি কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের সঙ্গেই কাজ করবেন বলে জানালেন। তার ভাষ্য, ‘আদালত জানিয়েছেন, নিপুণের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মিটিংয়ে অংশ নিয়ে সমিতির কার্যক্রম গতিশীল করা আমার দায়িত্ব। সদস্যরা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমি যদি সেই দায়িত্ব পালন না করি, তাহলে তাদের কাছে কী জবাব দেব?’
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলো কাঞ্চন-নিপুণ ও মিশা-জায়েদ দুটি প্যানেল। নির্বাচনের পর সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে শুরু হয় নানা জটিলতা। যা জনমনে তীব্র সমালোচনা ও হাসির খোরাক জুগিয়েছিলো। অবশেষে সেটার অবসান হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস শিল্পীদের মনে।

after post box 2