সর্বশেষ

সৈকতের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ন রাখতে তদারকির নির্দেশ

101
Before post box 1

 

নিউজ ডেস্ক : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় আর যাতে অবৈধ স্থাপনা উঠতে না পারে সেই ব্যাপারে সার্বক্ষণিক তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৯ নভেম্বর) কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে এই আদেশ দেন।আদালতে জেলা প্রশাসকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আজ আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের পক্ষে জানানো হয় যে, কক্সবাজার সুমদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে ২৬০ এবং সুগন্ধা পয়েন্টে ৪১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি শেষে ২০১১ সালের ৭ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ন রাখা এবং সমুদ্র সৈকত এলাকায় সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে ২০১৬ সালের পর সমুদ্র সৈকত এলাকা অবৈধভাবে দখল হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করে এইচআরপিবি। আদালত গত ১৪ মার্চ এ বিষয়ে রুল জারি করে। একইসঙ্গে ১৯ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে আদালতে তলব করা হয়। পরবর্তীতে আজ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, কক্সবাজার সুমদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে ২৬০ এবং সুগন্ধা পয়েন্টে ৪১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

middle of post box 3

এরপর কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত অপর এক আদেশে বিবাদীদের সমুদ্র সৈকতের বৈশিষ্ট্য রক্ষায় আদালতের রায়ে দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সব সময় সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়ে ভবিষ্যতে যাতে আর কেউ উচ্ছেদকৃত এলাকা দখল/স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সে ব্যাপারে সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, আজ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, কক্সবাজার সুমদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে ২৬০ এবং সুগন্ধা পয়েন্টে ৪১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন দেওয়ার পর শুনানি শেষে রুল নিষ্পত্তি করে জেলা প্রশাসককে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মনজিল মোরসেদ আরও জানান, আরেক আদেশে আদালত বিবাদীদেরকে কক্সবাজার ‘সি বিচ’র বৈশিষ্ট রক্ষায় আদালতের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সব সময় সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে ভবিষ্যতে আর কেউ উচ্ছেদ করা এলাকা দখল বা স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে- সে ব্যাপারে সব সময় ভিজিলেন্স থাকতে বলেছেন আদালত।

after post box 2