সর্বশেষ

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের নাইট গার্ডই ইয়াবা সম্রাট, বাবা-ছেলেসহ আটক ৫

109
Before post box 1

 

নিউজ ডেস্ক ::পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের নাইট গার্ড আব্দুল মালেক। তার সংকেতের উপর ভিত্তি করেই স্পিডবোটের মাধ্যমে ইয়াবা নিয়ে সৈকতে আসে মাদক ব্যবসায়ীরা। এরপর তাদের কাছ থেকে ইয়াবার চালানগুলো বুঝে নিয়ে সে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও উপজেলায় বিক্রি করে। শুধু মালেক একা নয়; তার সঙ্গে এ মাদক ব্যবসার কাজে জড়িত হয়েছে তার ছেলে মো. ইমরান হোসেনসহ আরও ৫ জন। তারা পরস্পরের যোগসাজশেই ইয়াবার বড় চালানগুলো টেকনাফ থেকে সাগরপথে মহেশখালী-কুতুবদিয়া হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে নিয়ে আসে। তবে দীর্ঘদিন ধরা না পরলেও অবশেষে স্পিডবোটে ইয়াবার চালান আনার সময় ধরা পড়েছে ‘ইয়াবা সম্রাট’ মালেকসহ ৫ জন।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) ভোর ৬টার দিকে পতেঙ্গা সী-বিচের মেইন পয়েন্ট ঘাটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা।

আটক ৫ জন হলেন-নাইট গার্ড মো. আব্দুল মালেক (৫২) ও তার ছেলে মো. ইমরান হোসেন (২০), মো. ওমর ফারুক (৪০), মো. নিজাম উদ্দিন (৩০) এবং মো. হাসান মিয়া (২১)।

middle of post box 3

র‌্যাব জানায়, ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি বড় চালান নিয়ে স্পিডবোটযোগে সাগর পথে পতেঙ্গা সী-বিচের দিকে আসছিল মাদক ব্যবসায়ীরা। তারা ওই চালান থেকে কিছু অংশ চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানাধীন পতেঙ্গা সী-বিচ মেইন পয়েন্ট ঘাটের কিছুটা অদূরে সাগরে ১টি লাইফ বোটের লোকজনদের কাছে এবং বাকিগুলো অন্য কোথায় দেওয়ার কথা ছিল। তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পতেঙ্গা সী-বিচ মেইন পয়েন্ট ঘাটে অভিযান চালায় র‌্যাবের সদস্যরা। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে নোঙ্গর করা অবস্থায় ১টি লাইফ বোট ও স্পিডবোট করে কয়েকজন পালানোর চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে র‌্যাবের সদস্যরা ওই স্পিডবোটে থাকা ২ জন ও লাইফ বোটে থাকা ৩জনসহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের দু’টি ট্র্যাভেল ব্যাগ তল্লাশি করে ১ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটক ৫ জনের মধ্যে আব্দুল মালেক পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের নাইট গার্ড এবং মো. হাসান মিয়া তার ছেলে। মালেক দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ মাদকের কাজের সঙ্গে জড়িত। তার সঠিক সংকেতের উপর ভিত্তি করেই স্পিডবোট ইয়াবা নিয়ে সমুদ্র সৈকতে আসে এবং সে মাদকদ্রব্যের চালান গ্রহণ করে তা বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। আর তার ছেলে হাসান প্রতিবন্ধী; সে বেশিরভাগ সময় টেকনাফে থাকে এবং ইয়াবার চালান আনার জন্য টেকনাফ থেকে সে সবকিছু গুছিয়ে দেয়।

অন্যদিকে নিজাম ছিল স্পিড বোট চালক। তবে কয়েকমাস ধরে গার্মেন্টসে চাকরি নেয় এবং ছুটির দিনে অবৈধ মাদক আনার বাহক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া মো. ওমর ফারুক ওরফে প্যাকেজ ফারুক স্পিডবোটের মালিক। তার অনেকগুলো বোট থাকলেও মাদক চোরাচালানের কাজে একটি মাত্র বোট ব্যবহার করতো।

র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, তারা পরস্পরের যোগসাজশে ইয়াবার বড় চালানগুলো টেকনাফ থেকে সাগরপথে মহেশখালী-কুতুবদিয়া হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে নিয়ে আসতো। এরপর চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। এছাড়াও তারা এলাকায় বিভিন্ন কাজের আড়ালে মাদক পরিবহনের মত জগন্য কাজেও জড়িত ছিল। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

after post box 2