সর্বশেষ

টানা পরিবহন ধর্মঘটে সড়কপথে বিচ্ছিন্ন রাজশাহী

77
Before post box 1

 

middle of post box 3

নিউজ ডেস্ক : মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় শনিবার (৩ ডিসেম্বর) তৃতীয় দিনের মতো চলছে পরিবহন ধর্মঘট। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে রাজশাহী থেকে দূরপাল্লা বা আন্তঃজেলা রুটের কোনো বাস ছাড়েনি। এতে সড়কপথে ঢাকাসহ পুরো দেশের সঙ্গে রাজশাহীর যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পুরো রাজশাহী বিভাগের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এর ওপর পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন থেকে নতুন করে ধর্মঘট ডাক দিয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার চালকরা। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেন তারা।তাই সব সড়কে অবাধ চলাচল ও হয়রানিমুক্ত রেজিস্ট্রেশনের দাবিতে অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার ধর্মঘট চলছে। পরিবহন ধর্মঘটের পর বেশি ভাড়া নিলেও সাধারণ যাত্রীদের ভরসা হয়ে উঠেছিল এই অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার যান। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ করে তারাও ধর্মঘটের ডাক দেন। ফলে পুরো রাজশাহীর যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।বিশেষ করে শহর থেকে আন্তঃজেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর ধর্মঘটের কবলে পড়ে সাধারণ মানুষকে যারপরনাই দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তিন দিন থেকে গন্তব্যে যেতে নানান ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিকল্প যানবাহনে করে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিলেও এর জন্য গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল বাসস্ট্যান্ড, ভদ্রা বাসস্ট্যান্ড, গোরহাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, বিন্দুর মোড় বাসস্টপেজ ও বিলশিমলা বাসস্টপেজে গিয়ে দেখা যায়- পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সাধারণ যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বিকল্প যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু হাতেগোনা কিছু অটোরিকশা ছাড়া আর কোনো যানবাহন নেই শনিবার (৩ ডিসেম্বর)।পরিবহন নেতাদের দাবি, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার ও পুলিশ হয়রানি বন্ধে বারবার বলা হলেও সরকারপক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তাই সেবামূলক পেশা হলেও দাবি আদায়ে তারা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছেন।রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বাংলানিউজকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল করছে। এগুলো বন্ধসহ ১০ দাবি রয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানান সাফকাত মঞ্জুর।তবে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, আজকের গণসমাবেশে বাধা দিতেই রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। আর কেবল তাই নয়, বিকল্প পরিবহনে বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা এলেও পথে পথে গাড়িতে তল্লাশি করছে পুলিশ। রাস্তায় গাড়ি আটকে ফেরতও পাঠানো হচ্ছে।

after post box 2