সর্বশেষ

তিনশ কোটিরও বেশি টাকা নিয়ে উধাও ইসমাইল হোসেন রিগ্যান

135
Before post box 1

 

middle of post box 3

নিউজ ডেস্ক :: অভিনব কায়দায় কয়েকশ’ মানুষের তিনশ’ কোটিরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে এক প্রতারক। খুলশীর অভিজাত ফ্ল্যাটে বসবাস এবং আলিশান বাড়িতে অফিস স্থাপন করে প্রতারণার ডালপালা বিস্তার করেন ইসমাইল হোসেন রিগ্যান নামে ওই প্রতারক। রেন্ট-এ কার বা ভাড়ায় গাড়ি লাগানো, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঠিকাদারীসহ নানা ব্যবসার নামে মানুষের বিশ্বাস অর্জনের পর বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কোটি কোটি টাকা নিয়ে গা ঢাকা দেন। ভাড়ায় চালানোর নাম করে নেয়া একেকটি গাড়ি ৪/৫ জনের কাছেও বিক্রি করেছেন। যে ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন সেই বাড়ির অপর এক ফ্ল্যাটের এক বাসিন্দার মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি বিক্রি করে দেন পানির দরে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এখন ইসমাইল হোসেন রিগ্যানের খুলশীর বাসায় ভিড় করছে। শত শত মানুষের টাকা মেরে দিয়ে পরিবার পরিজনসহ রিগ্যান দুবাই পাড়ি দিয়েছে বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রতারণার শিকার অসংখ্য মানুষ খুলশী থানা পুলিশের শরণাপন্ন হলেও দুবাই চলে যাওয়ায় রিগ্যান এখন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
পুলিশ এবং স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের অলিপুর পাটোয়ারী বাড়ির জনৈক মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারীর পুত্র মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন রিগ্যান বেশ কয়েক বছর আগে চট্টগ্রাম শহরে আসে। বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি দেশি বিদেশী বড় বড় কোম্পানিকে ভাড়ায় গাড়ি দেয়ার ব্যবসা শুরু করে। বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে কার, জিপসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাড়ায় নিয়ে সেগুলো বিভিন্ন কোম্পানির কাছে ভাড়ায় লাগানোর কাজই করতে থাকে রিগ্যান। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল এবং মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন প্রকল্প, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ চট্টগ্রামে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাড়ার সাথে সাথে রিগ্যানের ব্যবসার পরিধি বাড়তে থাকে। বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি চট্টগ্রাম ইপিজেডের বিদেশী কোম্পানিগুলোতেও গাড়ি সাপ্লাই দিতে থাকে রিগ্যান। তার ব্যবসার পরিধি ক্রমে বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে আয়-রোজগার। রিগ্যান দক্ষিণ খুলশীর তিন নম্বর সড়কে সানম্যার রয়েল রিজ নামের অভিজাত এ্যাপার্টমেন্টে ২২৮৯ বর্গফুটের ডি-৪ ফ্ল্যাট কিনে তাতে বসবাস করতে থাকেন। দুই কোটি টাকারও বেশি দামের ফ্ল্যাটটি সাজাতে বেশ বড় অংকের টাকা ব্যয়ও করেন। পাশের ৪ নম্বর সড়কে ৫৭০ নম্বর বাড়িতে অফিস স্থাপন করেন। গ্লোবাল কর্পোরেশন নামের কোম্পানি গঠন করে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। গত বছরখানেক ধরে রিগ্যানের চলন বলন এবং কাজ-কর্মে বেশ পরিবর্তন আসে। যে গাড়ির জন্য মাসিক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ভাড়া পাওয়া যায় সেই গাড়ি রিগ্যান ৭০/৭৫ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে নিচ্ছিলেন। বেশি ভাড়া দিয়ে কৌশলে বাজারে নিজের ব্যবসার সুনাম কুড়িয়ে নেয় রিগ্যান। তার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে ডাক্তার, পুলিশ, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে অসংখ্য মানুষ তাকে মাসিকভিত্তিতে ভাড়ায় গাড়ি দিতে থাকে। প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে ভাড়ার টাকা ব্যাংকে বা নগদে পেয়ে যাওয়ায় বহু গাড়ি মালিক এক বছরেও তার গাড়ির চেহারা দেখেননি। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন রিগ্যান শহরের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ১৪২টি কার ও জিপ গাড়ি নিয়ে ভাড়ায় পরিচালনা করছিলেন।
এক পর্যায়ে রিগ্যান গাড়িগুলো বিক্রি করতে শুরু করেন। এই বিক্রির ক্ষেত্রেও অভিনব প্রতারণার আশ্রয় নেয় রিগ্যান। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন স্লিপে (ব্লু বুকে) থাকা মালিকের নাম এবং ছবি ব্যবহার করে রিগ্যান নকল এনআইডি তৈরি করে। ওই এনআইডি দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে পানির দামে গাড়ি বিক্রি করতে শুরু করে। মাত্র দিন দশেকের মধ্যে ৫০টিরও বেশি গাড়ি বিক্রি করে দেয়। একেকটি গাড়ি ৪/৫ জনের কাছে বিক্রি করার ঘটনাও ঘটেছে। একেকটি কার, মাইক্রো এবং জিপ ১২ থেকে ৩০ লাখ টাকার বিক্রি করে দিয়েছে। সস্তায় পাওয়ায় অনেকেই গাড়িগুলো কিনে নেয়। নকল এনআইডি দিয়ে তিনশ’ টাকার স্ট্যাম্পে সেলরিসিট তৈরি করে গাড়িগুলো বিক্রি করে দেয়া হয়। যে সব গাড়ি একাধিক মানুষের কাছে বিক্রি করা হয়েছে সেগুলো কয়েকদিন পরে ডেলিভারির ডেট দেয়া হয়। ক্রেতাদের বলা হয়েছে যে, গাড়িটি এখন যার কাছে ভাড়ায় চলছে তিনি আগামী মাসে দেশে চলে যাবেন। তখন গাড়িটি আর ভাড়ায় লাগাবেন না। উনি চলে যাওয়া পর্যন্ত গাড়িটি ওই কোম্পানিতে চালাতে হবে। ৪০ লাখ টাকার গাড়ি ৩০ লাখ টাকায়, ২০ লাখ টাকার গাড়ির ১২ লাখ টাকায় কিংবা ৫০ লাখ টাকার গাড়ি ৩০ লাখ টাকায় পেয়ে অনেকেই কয়েকদিন পর ডেলিভারি নেয়ার শর্তে গাড়ি কিনতে কোনো আপত্তি করেননি। এ ভাবে একেকটি গাড়ি চার-পাঁচজনের কাছে বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেয় রিগ্যান। যে সানম্যার রয়েল রিজ এ্যাপার্টমেন্টে রিগ্যান বসবাস করতেন সেই এ্যাপার্টমেন্টের অপর এক ফ্ল্যাট মালিকের একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি ৬৭ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন রিগ্যান। পরবর্তীতে ক্রেতা গাড়িটি নিতে আসলে ফ্ল্যাট মালিক আকাশ থেকে পড়েন। তিনি কোনো গাড়ি বিক্রি করেননি বলে জানালে মার্সিডিজ ক্রেতা প্রথমে হৈ চৈ শুরু করলেও পরে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন। ৬৭ লাখ টাকা হাওয়া হয়ে যাওয়ায় তিনি চোখে মুখে অন্ধকার দেখেন।
চন্দনাইশের কামরুল নামের এক ব্যক্তি রিগ্যানের কাছে কারো ভাড়ায় লাগানো একটি হাই-এইচ মাইক্রোবাস কিনেন ২৭ লাখ টাকায়। কিন্তু ভদ্রলোকের স্ত্রী স্বামীকে বিশ্বাস না করায় নিজে এসে টাকাগুলো তুলে দেন রিগ্যানের হাতে। নকল এনআইডি এবং স্ট্যাম্পসহ সব কাগজপত্র বুঝিয়ে দিয়ে কয়েকদিন পর গাড়ি ডেলিভারি নিতে বলা হয়। রিগ্যানের গা ঢাকার খবর পেয়ে চন্দনাইশ থেকে স্বামীসহ সানমার রয়েল রিজ ভবনে এসে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ। যে গাড়িটি কামরুলের কাছে বিক্রি করা হয়েছিল সেই গাড়ির অরজিন্যাল মালিকও ছুটে আসেন। এসে দেখেন গাড়ি নেই। গাড়িটি অন্য কেউ নিয়ে গেছে। গত তিন চারদিন ধরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মালিক গাড়িটির হদিশ করতে পারেননি। প্রতারিত হওয়া কামরুল এবং তার স্ত্রী এ্যাপার্টমেন্টের নিচে চালু করা দাবিনামার খাতায় নিজেদের নাম ঠিকানা লিখে দিয়ে শূণ্যহাতে চন্দনাইশ ফেরত গেছেন।
নগরীর আগ্রাবাদ এঙেস রোডের অটো সেভ ইলেক্ট্রিক সার্ভিসের মালিক মোহাম্মদ শাহজাহানের কাছ থেকে একটি র‌্যাব-৪, একটি হাই-এইচ এবং একটি এঙিয়ো প্রাইভেট ভাড়া নিয়েছিলেন রিগ্যান। গতকাল মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আমার তিনটি গাড়িই সে বিক্রি করে দিয়েছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করে এক ব্যক্তির কাছ থেকে র‌্যাব-৪ গাড়িটি উদ্ধার করেছি। আমার গাড়িটি রিগ্যান ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিল। আমার হাই-এইচ এবং এঙিয়ো গাড়িটি খুঁজে পাচ্ছি না। কোথায় কার কাছে বিক্রি করেছে তাও জানি না।
মীরসরাইর ঠাকুরদীঘির আনোয়ার হোসেন এবং সাইফুল হোসেন জানান, তাদের দুইটি গাড়ি দিয়েছিলেন রিগ্যানের কাছে। দুইটি গাড়িই বিক্রি করে দেয়া হয়। এর মধ্যে একটি গাড়ি বিক্রি করা হয় এক পুলিশসহ চার জনের কাছে। চারজনই গাড়িটি নিয়ে টানাটানি শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ গাড়িটি নিয়ে গিয়ে নিজের এ্যাপার্টমেন্টে তালা মেরে আটকে রাখেন। পরবর্তীতে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে তারা কোনো রকমে গাড়িটি উদ্ধার করেন।
এ ভাবে বিভিন্নজনের বহু গাড়ি রিগ্যান একাধিক মানুষের কাছে বিক্রি করে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
শুধু গাড়িই নয়, রিগ্যান মানুষের কাছ থেকে নগদও কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। গাড়ি ব্যবসা, ঠিকাদারী ব্যবসাসহ নানা ব্যবসায় পার্টনার করার কথা বলে রিগ্যান বহু মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নগদ নিয়েছেন। এক কোটি টাকায় প্রতিমাসে দুই লাখ টাকা ব্যবসার লোভনীয় অফার দিয়ে বহু মানুষ থেকে দশ বিশ কোটি টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন রিগ্যান। নিজের এ্যাপার্টমেন্টের এক ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়েছেন দশ কোটি টাকা। পাওনাদারদেরকে রিগ্যান চেক প্রদান করেছেন। রিগ্যান তার কোম্পানি গ্লোবাল কর্পোরেশনের নামে খোলা এসবিএসি ব্যাংকের ০০০৪১১১০০৪৪০৯ নম্বর একাউন্টের অসংখ্য চেক মানুষকে প্রদান করলেও ওই একাউন্টে গত ছয়মাসেও এক টাকার লেনদেন হয়নি। কোনো টাকাও এই একাউন্টে জমা নেই।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন রিগ্যান তার অভিজাত ফ্ল্যাটটিও মাস চারেক আগে গোপনে বিক্রি করে দেন। বিক্রিত ফ্ল্যাটটি পুনরায় ভাড়ায় নিয়ে তাতে বসবাস করছিলেন। এতে করে বাইরের কেউ কোনোভাবেই বুঝতে পারছিলেন না যে, রিগ্যান কোনো সমস্যা করতে যাচ্ছেন। নিজের ফ্ল্যাট গোপনে বিক্রি করে তাতে ভাড়া থাকার কৌশলই তাকে বহু অপকর্ম করতে সহায়তা করেছে। নিজের ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেয়ার পাশাপাশি রিগ্যান গত ছয়মাস ধরে তার অফিসের ভাড়াও আটকে ফেলে। অফিসের বাড়ির মালিককে ছয় মাস ভাড়া দেয়া হয়নি।
এ ভাবে বিভিন্নজনের কাছ থেকে নগদে এবং গাড়ি বিক্রি করে ৩শ’ কোটিরও বেশি টাকা রিগ্যান হাতিয়ে নিয়েছে বলেও দাবিনামার খাতায় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই পাওনাদাররা সানমার রয়েল রিজ বাড়িতে ভিড় করছেন। আর লম্বা হচ্ছে পাওনাদারদের তালিকা।
অথচ ইসমাইল হোসেন রিগ্যানের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় গড়ে উঠলেও পুলিশও তার টিকিটির নাগাল পাচ্ছে না। পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে, ইসমাইল হোসেন রিগ্যান ইতোমধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে দুবাই পাড়ি জমিয়েছে।
এ ব্যাপারে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তোষ চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বড় প্রতারক। অভিনব পন্থায় নানাভাবে সে মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। আমাদের থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা এবং তিনটি জিডি রেকর্ড হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘রিগ্যান যে এ্যাপার্টমেন্টে থাকেন সেখানের কয়েকজন বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও বহু টাকা সে হাতিয়ে নিয়েছে। তারা মামলা করতে আসবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আসেননি।’
ওসি সন্তোষ চাকমা বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ১৮২ কোটি টাকা প্রতারণার তথ্য পেয়েছি। আরো কেউ প্রতারিত হয়েছে কিনা তা অভিযোগ করলে জানতে পারবো।
রিগ্যান দুবাইয়ে অবস্থানের বিষয়টি বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এখানে অসংখ্য মানুষের সাথে প্রতারণা করার মাধ্যমে কয়েকশ’ কোটি টাকা হাতিয়ে রিগ্যান বিপুল পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে দুবাইয়ে নিয়ে গেছে। রিগ্যানের (পাসপোর্ট নম্বর- বিওয়াই-০৫৯৬৬৯৮) তার স্ত্রী মুশিয়া নুর কলিকে (পাসপোর্ট নম্বর- ইএইচ-০০৭৪৯৭৭) সাথে নিয়ে অতি সম্প্রতি চট্টগ্রাম থেকে দুবাই চলে গেছেন। পরবর্তীতে তার মা-বাবা এবং ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও পার করে নেয়া হয়।
পুলিশ বলেছে, পুরো বিষয়টি তারা তদন্ত করছে। রিগ্যানকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে।
অপর একটি সূত্র বলেছে, রিগ্যান এবং তার পরিবারের সদস্যরা দুবাই থেকে ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তোষ চাকমা প্রতারিতদের সকলকেই পুলিশের শরণাপন্ন হয়ে প্রকৃত তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন।

after post box 2