সর্বশেষ

শহিদ মিনারে তোয়াব খানকে গার্ড অব অনার প্রদান

93
Before post box 1

নিউজ ডেস্ক :: একুশে পদকপ্রাপ্ত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের প্রথম জানাজা সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে তার বর্তমান কর্মস্থল দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ নেওয়া হয়। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ রাখা হয়েছে। সেখানে প্রদান করা হয় গার্ড অব অনার।

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তোয়াব খানকে গার্ড অব অর্নার প্রদান করা হয়। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ঢাকা জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম উপস্থিত থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্যালুট জানানো হয়। এ সময় সাংবাদিক তোয়াব খানের মরদেহবাহী কফিনটি জাতীয় পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয়।

শহিদ মিনারে বরেণ্য সাংবাদিক তোয়াব খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধান জানান তার সহকারী সামরিক সচিব জিএম রাজিব আহমেদ। আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল জাতীয় প্রেস ক্লাবে দুপুর ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত তোয়াব খানের মরদেহ রাখা হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মরদেহ নেওয়া হবে রাজধানীর গুলশানে মরহুমের নিজ বাসভবনে। বাদ আছর গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে বর্ষীয়ান এই সাংবাদিককে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

middle of post box 3

এর আগে, শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শোক জানিয়েছেন।

সাংবাদিকতায় বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার অধিকারী তোয়াব খানের জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরার রসুলপুর গ্রামে। ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে তার সাংবাদিক জীবনের শুরু। ১৯৫৫ সালে তিনি যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন।

এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক হিসেবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

তোয়াব খান ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান।

দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তিনি। এরপর নতুন আঙ্গিক ও ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তিনি। তার শেষ কর্মস্থল নতুন আঙ্গিকে শুরু হওয়া দৈনিক বাংলা।

after post box 2