সর্বশেষ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে দোষীদের তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার আহ্বান : আইএইচআরসি

26
Before post box 1

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :: কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িতদের ওপর বল প্রয়োগ, সারাদেশে গণ-গ্রেপ্তার, আন্দোলনের সমন্বয়কদের হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়ে রাখা এবং মতপ্রকাশে বাধা দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন (আইএইচআরসি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।

তারা জাতিসংঘের অধীনে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে আইএইচআরসি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু, অ্যাম্বাসেডর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু এসব দাবি জানিয়েছেন।

middle of post box 3

বিবৃতিতে তারা জানান, জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার প্রধান কার্যালয় থেকে এই বিষয়ে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে। আইএইচআরসি মনে করে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ২১২ জনের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়।

আইএইচআরসি আরও জানায়, আন্দোলনকারীদের উপর প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার, তাদের নিরস্ত্র অবস্থায় কাছ থেকে গুলি করা, বাসা-বাড়ি বা ছাদ থেকে গুলি করে শিশুদের হত্যা এবং সরকার দলীয় সংগঠনের হামলার ভিডিও ও তথ্য তাদের হাতে রয়েছে। এসব ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তারা আরও বলেন, আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়কদের হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে আটক রাখা হয়েছিল, সারাদেশে কম বয়সী তরুণসহ বিরোধী মতের মানুষকে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়া ৮৭ শতাংশের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। ফলে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা চরম নিরাপত্তাহীনতা ও ভয়ের মধ্যে রয়েছে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, রংপুরে শিক্ষার্থী আবু সাঈদের হত্যাকা-ের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। সেখানে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনা স্পষ্ট দেখা গেছে। কিন্তু এই ঘটনায় এক ১৬ বছর ১০ মাসের কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যে ১২ দিন ধরে কারাগারে রয়েছে। আইএইচআরসি মনে করে, এই সংকট নিরসনে বাংলাদেশ সরকারকে সতর্ক ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। নিরপেক্ষ এবং আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত নিহত ও হতাহতের সংখ্যা বের করতে হবে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

after post box 2