সর্বশেষ

নির্বাচন এলে তাদের চক্রান্ত বৃদ্ধি পায়: শেখ হাসিনা

81
Before post box 1

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি মহল আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চক্রান্তে ব্যস্ত মন্তব্য করে দলটির সভাপতি ও টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যখনই নির্বাচন আসে তখনই তাদের চক্রান্ত বৃদ্ধি পায়’। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। যারা উন্নয়ন দেখে না তাদের ‘বুদ্ধিজীবী প্রতিবন্ধী’ এবং সেসব ‘বুদ্ধিজীবী প্রতিবন্ধীরা’ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চায় মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী আছে বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করে যারা, সেই বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে কিছু কিছু আবার আছে যারা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, বুদ্ধিজীবী প্রতিবন্ধী; আমি বলব এই বুদ্ধিজীবী প্রতিবন্ধী যারা, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী না—এটা হবে বুদ্ধিজীবী প্রতিবন্ধী, এ কারণে বলছি এই বুদ্ধিজীবীরা আসলে প্রতিবন্ধী।

কারণ তারা কোন উন্নয়নই দেখে না। আর কীভাবে আওয়ামী লীগকে হটানো যায় ক্ষমতা থেকে সেই চক্রান্তে ব্যস্ত । আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চক্রান্ত কেন হচ্ছে তার কারণ ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেন ব্যস্ত তার কারণ একটাই, যখন কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকে, হয় মার্শাল ল’ হলো বা ওই যে ইয়াজউদ্দিন, মইনুদ্দিন, ফখরুদ্দিন ওইরকম সরকার যদি আসে; যখন গণতন্ত্র থাকে না তখন তারা মূল্যহীন হয় না তখন তাদের মূল্য বাড়ে। ’
তিনি বলেন, ‘অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে তাদের মূল্য খুব বেড়ে যায়। কারণ যারা এভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল অথবা মার্শাল ল’ দিয়ে ক্ষমতা দখল করে তারা তো জনগণের সমর্থন পায় না। তখন এই বুদ্ধিজীবীরা দাঁড়িয়ে পড়ে। ওই যে লেখা থাকে না ‘ইউজ মি’ মানে আমাকে ব্যবহার করুন, তো ওনারা ওই রকম জামাকাপড় ইস্ত্রি করে রেডি হয়ে যান ‘ইউজ মি’ আমাকে ব্যবহার করেন এবং ওনারা ব্যবহারই হন। যখন গণতন্ত্র আসে, গণতান্ত্রিক ধারায় দেশ চলে তখন তারা নিজেদের খুব হতাশ মনে করেন। ’

middle of post box 3

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তাদের একটা কথা বলতে চাই—তারা তাদের জ্ঞান বুদ্ধিটা দেশের কল্যাণে কাজে লাগাক, অকল্যাণকর কাজের জন্য তারা কেন তাদের এই জ্ঞানটা খরচ করে? বরং হ্যাঁ, আমরা দেশের উন্নয়ন করছি সেটা একটু দৃষ্টি খুলে দেখুক, আরও ভালো কাজ কী করা যায় সেই পরামর্শটা দিক। নির্বাচিত সরকার হটিয়ে অনির্বাচিত কাউকে আনা যায় কিনা ওই চক্রান্ত করে দেশের কোন ভালো কাজটা হবে? এটা আমার প্রশ্ন। ’ জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতা যাওয়ার স্বপ্ন দেখে কীভাবে
বিএনপি জনগণের ভোট পাবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করেছে এবং সেই নির্বাচন নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন নেই। … তো সেই নির্বাচনে বিএনপি সিট পেয়েছিল মাত্র ৩০টি। ২৯ প্লাস ১, তাহলে প্রশ্ন এখানে জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় যাবে সেই স্বপ্নটা কীভাবে দেখে?’

তিনি বলেন, ‘আমরা (আওয়ামী লীগ) জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবো। জনগণের আস্থা বিশ্বাস নিয়ে আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতায় এসেছে, ক্ষমতায় আসবে। ভোট ছাড়া, জনগণের সমর্থন ছাড়া আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতায় আসেনি। ওই কেউ এসে মার্শাল ল’ দিয়ে আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়নি। ’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে নিজের কাজের মধ্যে দিয়ে জনগণের হৃদয় জয় করে, তাদের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করে। এই কথাটা সব সময় মনে রাখতে হবে আমরা জনগণের জনগণ আমাদের এই দেশ আমাদের। ’ ভোট চুরি করলে জনগণ ক্ষমা করে না
ভোট চুরি করলে দেশের জনগণ ছেড়ে দেয় না, ক্ষমা করে না মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি একটা নির্বাচন করে, ভোটারবিহীন নির্বাচন। সেই সময় তাদের ভোট কারচুপি নানা ধরনের অপকর্মের কারণে সব দলই কিন্তু নির্বাচনটা বয়কট করেছিল। জনগণের ভোট চুরি করেছিল বলেই কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সেই নির্বাচনকে মেনে নেয়নি। তখন তীব্র প্রতিবাদ হয়, গণআন্দোলন হয় এবং যার ফলে খালেদা জিয়ার পতন হয়। মাত্র দেড় মাসের মাথায় ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হয়। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে খেলা, কারচুপি এটা কিন্তু বিএনপির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই শুরু করেছে। যেটা ’৯৬ সালেও আমরা দেখলাম ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন, আবার ২০০৬ সালে এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে তারা নির্বাচন করার একটা প্রহসন শুরু করলো। এদেশের মানুষ কিন্তু কেউ ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেললে তাদের ক্ষমা করে না, মানুষ কিন্তু ছেড়ে দেয় না। ’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই তারা জনগণের জনগণর ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। ’বিদেশে বসে লুটের টাকায় তারেক দেশের বদনাম করছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক জিয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন বিদেশে বসেই দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা এটাই তার কাজ। আর এই যে মানি লন্ডারিং করে হাজার হাজার কোটি টাকা যে নিয়ে গেছে, সেটা এখন দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করতে ব্যবহার করছে। ’ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

after post box 2