সর্বশেষ

জিতেও প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় জার্মানির

111
Before post box 1

 

middle of post box 3

নিউজ ডেস্ক :: কোস্টারিকা বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে জয় ছিনিয়ে নিলো জার্মানি। ম্যাচে ৪-২ গোলে জয় পেলেও গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলও তাদের। স্পেনের সঙ্গে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিদায় নিতে হলও তাদের। টানা দুই বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেল জার্মানরা। জার্মানির ভাগ্য মূলত নিজেদের হাতে ছিল না। কোস্টারিকাকে হারালেও গ্রুপের অন্য ম্যাচে জাপান স্পেনকে হারালে বাদ পড়তে হতো তাদের। আর তেমনটাই হলও। গ্রুপ ‘ই’ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক আউট রাউন্ডে উঠে গেছে জাপান। আর স্পেন উঠেছে রানার্সআপ আপ হয়ে। প্রথমার্ধে সার্জ গানাব্রির গোলে ১-০ গোলে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় জার্মানি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় কোস্টারিকা। ৫৮ মিনিটে এলসিন তাজেদার গোলে সমতায় ফেরে কোস্টারিকা। ওয়াটসের শট ফিরিয়ে দেন নয়ার। রিবাউন্ড শটে গোল করেন তাজেদা। জাতীয় দলের হয়ে নয় ম্যাচে এটি তার প্রথম গোল। এরপর একের পর এক আক্রমণে জার্মানির রক্ষণের কঠিন পরীক্ষাই নিয়েছে কোস্টারিকা। যার ধারাবাহিকতায় ৭০ মিনিটে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় কোস্টারিকা। জটলার মধ্যে উড়ে আসা বলে ভারগাসের শট নাভাসের পায়ের নিচে দিয়ে জালে জড়ায়। গোলটি নিয়ে অফসাইডের দাবি জানায় জার্মান ফুটবলাররা। তবে ভিএআরে অফসাইড প্রমাণিত হয়নি। তবে নাটকীয়তা তখনও বাকি আছে। ৭৩ মিনিটে কাই হাভার্টের গোলে সমতা ফেরায় জার্মানি। জয়ের জন্য মরিয়া জার্মানি এরপর কোস্টারিকার রক্ষণে আক্রমণের ঝড় তোলে। ৮৫ মিনিটে হাভার্টের দ্বিতীয় গোলে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় জার্মানি। গানাব্রির ক্রস থেকে বটম কর্নারে বল জালে জড়ান হাভার্ট। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে কোস্টারিকাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় নিকোলাস ফুলক্রুগের গোলটি। প্রথমে অফসাইডের বাঁশি বাজালেও পরে ভিএআরে গোলের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।
এর আগে প্রথমার্ধে দুই দলই বেশ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল জার্মানি। মুসালিয়ার আক্রমণ কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। এরপর একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে জার্মানি। যার ফলে ম্যাচের ১০ মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। মুসালিয়ার জোগান দেয়া বলে গোল করেন গানাব্রি। বিশ্বকাপে এটাই তার প্রথম গোল। প্রথমার্ধ জুড়ে জার্মানির আক্রমণের ধারা অব্যাহত থাকে। বেশ কিছু ভালো গোলের সুযোগ তৈরি করলেও ভাগ্যের কারণে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি জার্মানি। ম্যাচের ৪২ মিনিটে সবচাইতে বড় সুযোগটি হাতছাড়া করেছে কোস্টারিকা। নয়ারকে উদ্দেশ্য করে ব্যাক পাস দিয়েছিলেন রুদিগার। তবে বল পেয়ে যান ফুলার। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। জার্মানির হয়ে ৫০ তম ম্যাচ খেলতে নেমেছেন লেরয় সানে। এছাড়াও এটা জার্মানির হয়ে নয়ারের ১৯ তম বিশ্বকাপ ম্যাচ। এই ম্যাচে মাঠে নামার সঙ্গে বিশ্বকাপে সবচাইতে বেশি ম্যাচ খেলা গোলরক্ষক হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছেন নয়ার।

after post box 2