সর্বশেষ

মহানবী (সা.) গোটা সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত -অধ্যক্ষ এম সোলাইমান কাসেমী

210
Before post box 1

নিজস্ব প্রতিবেদক :: লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ১২ দিনব্যাপী ৩২তম মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলের দশম দিবসে ইসলামী গবেষক অধ্যক্ষ মাওলানা এম সোলাইমান কাসেমী বলেন, মহানবী (সা.) গোটা সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ মানবজীবনের সকল ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান।

middle of post box 3

পদুয়া আইনুল উলূম দারুচ্ছুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা আ ন ম নোমান’র সভাপতিত্বে ও মাহফিল কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম সাঈদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও নিউজটিভিবিডি ডটনেট’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুচ্ছফা। মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বড়হাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান চৌধুরী দুলাল। প্রধান ওয়ায়েজের আলোচনা পেশ করেন পিএইচ.ডি গবেষক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মুহিউদ্দিন মাহবুব। বিশেষ ওয়ায়েজের আলোচনা পেশ করেন ইসলামী আলোচক মাওলানা মোহাম্মদ মুসলেহ উদ্দিন ফারুকী। বক্তব্য রাখেন মাহফিল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন, পরিচালক মাওলানা মহিউদ্দিন হেলালী, মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, মাওলানা শাহ মনছুর, জালাল সওদাগর, কুতুবউদ্দিন, সৈয়দ নুর প্রমুখ। মাহফিলের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও নিউজটিভিবিডি ডটনেট’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুচ্ছফা বলেন, মহানবী (সা.) শিশুকাল থেকে ছিলেন শান্ত, নম্রভদ্র ও সৎচরিত্রবান। সত্যবাদিতার কারণে সে সময়ের লোকেরা তাঁকে আল-আমীন উপাদিতে ভূষিত করেছিলেন। যুবককালে তিনি সমাজের কল্যাণে ব্রতী ছিলেন। সেই সাথে তিনি সবাইকে মা-বাবার খেদমত করার অনুরোধ করেন।

প্রধান ওয়ায়েজ হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মুহিউদ্দিন মাহবুব বলেন, সমসাময়িকদের সঙ্গী বানিয়ে তৎকালীন সময়ে ‘হিলফুল ফুজুল’ নামক একটি সমাজকল্যাণ সংস্থা গঠন করেছিলেন। এই সংস্থার মাধ্যমে সমাজে শন্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। ৪০ বছর বয়সে রাসূল (সা.) আল্লাহর পক্ষ থেকে নবুওয়াত প্রাপ্ত হন। নবুওয়াত প্রাপ্তির পর তিনি মানুষকে কালেমার দাওয়াত দিতে লাগলেন। সর্বপ্রথম পরিজন ও নিকটজনদের মাঝে ঘোষণা করলেন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।” অর্থাৎ- “আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই, হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল।” মানুষকে বুঝালেন, এই কথাটি মুখে স্বীকার করা, অন্তরে বিশ্বাস করা এবং আল্লাহ তায়ালার বিধি-নিষেধ মেনে চলার মধ্যেই ইহ-পরকালীন সুখ-শান্তি নিহিত রয়েছে। এভাবে কালেমার বাণী প্রচার করে মানুষকে দ্বীনের পথে আহবান করেন। তিনি আরও বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন।

after post box 2