সর্বশেষ

নীলফামারীর আলু চাষিরা হতাশ

86
Before post box 1

 

middle of post box 3

নিউজ ডেস্ক: উত্তরের জনপদ নীলফামারীর আলু চাষিরা পার করছেন ভীষণ ব্যস্ত সময়। মৌসুমের নতুন আলু তোলা ও বীজ বপনের কাজ করছেন তারা। তবে হতাশাও কাজ করছে তাদের মধ্যে।জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আগাম আলুর উৎপাদন ভালো।কিন্তু খরচায় পড়তা পড়ছে না তাদের। দামও তেমন পাচ্ছেন না। যে কারণে আলু চাষিদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে।
হতাশ হলেও পরিবার চালাতে নতুন করে আলু বীজ বুনছেন এসব কৃষক।নীলফামারীতে এবার ২১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলু বীজ রোপণের কাজ ইতোমধ্যে শেষ। প্রতি হেক্টরে ১০ থেকে ১২ টন করে আগাম আলু পেলেও অন্যান্যবারের তুলনায় বাজারে দাম কম।ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগের বারের তুলনায় এবার আলুর ফলন বেশি। বিগত বছরের আলু এখনও হিমাগার ভর্তি। পুরনো আলু তারা ১৭-১৮ টাকায় কিনেছিলেন। বিক্রি করছেন ১৩-১৪ টাকায়। এমনিতেই ক্ষতির মুখে রয়েছেন তারা। এর মধ্যে নতুন আলু নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কপালে। পুরনো আলুর কারণে নতুন ফলনে যে কারণে দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। সোজা কথায় চাষি-ব্যবসায়ী দুই পক্ষই এবার ক্ষতির সম্মুখীন। কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, আগাম আলু ওঠার প্রথম দিকে কিছুটা উৎপাদন কম ছিল। কিন্তু ভালো দাম পেয়েছিলেন কৃষকরা। এখন দামে কাটতি থাকলেও উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে চাষিরা লাভবান হবেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর নীলফামারীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমাদের জেলার উৎপাদিত আলু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের অন্যান্য স্থানে সরবরাহ করা হয়। এ জেলা আলু চাষে উপযোগী হওয়ায় এবারও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এবার আলু উৎপাদন হবে ৫ লাখ ২০ হাজার ৮০ টন।

after post box 2