সর্বশেষ

বিদেশ পালিয়েছে আইএফআইসি ব্যাংকের ঋণ খেলাপি মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী

110
Before post box 1

 

নিউজ ডেস্ক:: বেসরকারি খাতের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (আইএফআইসি) ৬১ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী জেবুন্নাসা ও সন্তান আলী ইমাম। গত ২০১২ সালে চট্টগ্রাম অর্থ ঋণ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে ব্যাংকটি। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ঋণ খেলাপি বিবাদীদের পাসপোর্ট আদালতে জমা এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে এর আগেই মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী বিদেশে পালিয়েছেন।

আদালতের তথ্য মতে, চট্টগ্রাম অর্থ ঋণ আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগেই দেশ ছেড়েছেন আইএফআইসি ব্যাংকের ঋণ খেলাপি মো. আলী ও তার স্ত্রী। তবে বাংলাদেশে রয়ে গেছেন তাদের ছেলে আলী ইমাম। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে সে বিদেশে পাড়ি জমাতে পারেননি। ফলে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অর্থঋণ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আলী ইমাম।

এদিকে চলতি বছরের ৪ আগস্ট বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং রাজিক আল জলিল এর দ্বৈত বেঞ্চ আলী ইমামের রিট বাতিল করে চট্টগ্রাম অর্থ ঋণ আদালতের রায় বহাল রাখেন। আদালত বলেন, ব্যাংক যে ঋণ প্রদান করে তা জনগণের আমানতের টাকা। জনস্বার্থ রক্ষায় ও পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে দেশের যেকোনো অর্থ ঋণ আদালত।

middle of post box 3

এবিষয়ে জানতে চেয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মাদ শাহ আলম সরোয়ারকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন নি। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

তথ্য মতে, চট্টগ্রাম অর্থ ঋণ আদালতের ঋণ খেলাপি মোহাম্মদ আলী ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ২০ টির বেশি মামলায় বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দেড় হাজার কোটি টাকার উপরে পাওনা রয়েছে। অধিকাংশ খেলাপীরা বিদেশ পলাতক থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ ফলপ্রসূ হচ্ছে না। যার কারণে বছরের পর বছর খেলাপি ঋণের মামলা ঝুলে রয়েছে। পলাতক ঋণ খেলাপীদের কাছ থেকে আইনগত প্রক্রিয়ায় খেলাপি ঋণ আদায় সম্ভব হচ্ছে না।

জানা যায়, ব্যাংক খাতের বর্তমান খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে আদালতের কাঠগড়ায় ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা বন্দী। কিন্তু এসব ঋণ খেলাপিদের কেউ কেউ এখন বিদেশে। আবার কেউ কেউ বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই আটকে আছেন ঋণ খেলাপির দায়ে জারিকৃত গ্রেফতারি পরোয়ানার মাধ্যমে। পরোয়ানা থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন রকম কৌশল অবলম্বন করছেন তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে অর্থঋণ আদালতে বিভিন্ন ব্যাংকের করা মামলার স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৩৬৯টি। এর বিপরীতে দেশের বিভিন্ন ঋণ খেলাপি থেকে ব্যাংকগুলোর পাওনা টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি। দেড় লাখ কোটি টাকা দাবির বিপরীতে ছয় মাসে আদায়ের পরিমাণ খুবই কম।

after post box 2