সর্বশেষ

খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন আজ

114
Before post box 1

 

নিউজ ডেস্ক : খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন আজ রোববার (২৫ ডিসেম্বর)। তবে বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির কারণে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা।
বড়দিন উপলক্ষে ফুল, নানা রঙের বেলুন, নকশা করা কাগজ ও জরি ব্যবহার করে কয়েক দিন ধরেই সাজানো হয়েছে বিভিন্ন গির্জা। সব গির্জার ভেতরেই গত কয়েক দিন উৎসবের প্রস্তুতি চলছে। গির্জায়–গির্জায় বর্ণিল সাজে সেজেছে ক্রিসমাস ট্রি।খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুসারে, এ ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট আজকের দিনে বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন।

middle of post box 3

খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করার জন্য যিশু খ্রিস্ট জন্ম নিয়েছিলেন।বড়দিন খ্রিস্টীয় ধর্মানুষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও, বিশ্বময় একাধিক অ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও বড়দিন উৎসব পালন করে। বড়দিন উদযাপনে উপহার দেওয়া, সংগীত, বড়দিনের কার্ড বিনিময়, গির্জায় ধর্ম উপাসনা, ভোজ, এবং বড়দিনের বৃক্ষ, আলোকসজ্জা, যিশুর জন্মদৃশ্য ও হলি সমন্বিত এক বিশেষ ধরনের সাজসজ্জার আয়োজন করা হয়েছে।অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবেন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, যিশুর জন্ম হয়েছিল গোয়ালঘরে। সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে বড়দিনে গির্জাগুলোতে প্রতীকী গোয়ালঘর তৈরি করা হয়েছে। অনেকে তাদের বাড়িতেও তৈরি করেছেন গোয়ালঘর।খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা রোববার সারাদিন আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবেন। দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিস্টান পরিবারে কেক তৈরি হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন।

ঢাকার কাকরাইলের সেন্ট মেরিস গির্জা, তেজগাঁওয়ের হলি রোজারি গির্জা ও আসাদগেটের সেন্ট ক্রিস্টিনা গির্জা ঘুরে দেখা যায়, বড়দিন জাঁকজমকভাবে পালনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন। বাণীতে সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

after post box 2