সর্বশেষ

‘উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ’

154
Before post box 1

ঢাকা: বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে গণতান্ত্রিকভাবে সবার অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।

সোমবার (২২ আগস্ট) সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এবং ফ্রেডরিক-এবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস) আয়োজিত ‘মিট দ্যা অ্যাম্বাসেডর’ আয়োজনে তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর গুলশানে হোটেল খাজানাতে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

 

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে এক মন্তব্যে রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা বাংলাদেশের দায়িত্ব, কেননা এটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতার একটি বিষয় আছে। সেদিক থেকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে একটি গঠনমূলক নির্বাচন যেন অনুষ্ঠিত হয়, আমরা (বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গন) সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। আমরা এটা পর্যবেক্ষণ করতে পারি, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং অন্যান্যদের পর্যবেক্ষণের জন্য বলতে পারি। তবে বাংলাদেশের নিজস্ব সংবিধান আছে এবং সে অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা বাংলাদেশেরই দায়িত্ব।

তিনি বলেন, প্রতিটি ভোট গুরুত্বপূর্ণ, তাই যুক্তরাজ্যের প্রত্যাশা সংবিধান মেনে সুষ্ঠুভাবেই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের সংবিধানেও সেটি উল্লেখ করা আছে। এছাড়া ব্রিটিশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি দল নির্বাচন কমিশনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে এবং আশা করি একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুন্দর একটি নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করবে বলেও আমি প্রত্যাশা করি।

middle of post box 3

রোহিঙ্গা এবং করোনা ইস্যু নিয়ে ব্রিটিশ হাই-কমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে দেশটি। রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় অন্যতম প্রধান দাতাদেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ২০১৭ সাল থেকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে আসছে। এছাড়া করোনার সময় স্বাস্থ্যখাতে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা ছাড়াও ৪.১ মিলিয়ন ভ্যাকসিন দিয়ে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের রফতানির একটি বড় জায়গা। সেদিক থেকে এ রফতানি যেন আরও সহজ হয়, তা নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকিতে থাকা দেশ হিসেবেও বাংলাদেশকে সাহায্য করছে যুক্তরাজ্য। জলবায়ু পরিবর্তন সত্যি অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এটি এরইমধ্যে আমাদের জীবন ও অর্থনীতির জন্য ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠেছে। তাই আমাদের অবশ্যই এ পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সিজিএসয়ের চেয়ারম্যান ডা. মনজুর এ চৌধুরী এবং এফইএসয়ের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সাধন কুমার দাস।

স্বাগত বক্তব্যে তারা বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ধীরে ধীরে বেড়েছে। দু’দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতাও অনেক দারুণ। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক। বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আসছে। দু’দেশের মধ্যে  বাণিজ্য সম্পর্কও দারুণ। যুক্তরাজ্যে প্রায় ৬ লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। তারা যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, মানবাধিকার, সুশাসন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিয়ে আসছে যুক্তরাজ্য।

‘মিট দ্যা অ্যাম্বাসেডর’ আয়োজনটি পরিচালনা করেন সিজিএসয়ের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জিল্লুর রহমান। এ সময় আয়োজনে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সংসদ সদস্য, শিক্ষাবিদ, উন্নয়নকর্মীসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

after post box 2