সর্বশেষ

পৌষ উদযাপনের মধ্য দিয়ে কাটছে জন্মদিন: বন্যা

114
Before post box 1

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী।

রবীন্দ্রসংগীত তথা সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদক ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক বঙ্গভূষণ পদকে ভূষিত হয়েছেন গুণী এই শিল্পী।

 

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রেজওয়ানা চৌধুরীর জন্মদিন। । জন্মদিনটি কেমন কাটছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বেশ ভালো কাটছে। অনেকেই ফোন করে শুভেচ্ছা-শুভকামনা জানাচ্ছেন। ব্যস্ততার কারণে অনেকের সঙ্গেই আমাদের ঠিকঠাক যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু জন্মদিন এলেই যেন যোগাযোগের একটা উপলক্ষ তৈরি হয়। এ বিষয়টা খুব ভালো লাগে। ’

আজকের দিনে বিশেষ কোনও আয়োজন থাকছে কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, ‘প্রতিবছরই জন্মদিন উপলক্ষে পৌষ উৎসব উদযাপন করে থাকি। করোনা পরিস্থিতিতে এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করছি।

middle of post box 3

‘তবে অন্যান্য বছরের মত এবার দু’দিন না করে এক দিন করছি। পৌষ উদযাপনের মধ্য দিয়ে জন্মদিন পালন- সত্যিই আমার জন্য অনেক বেশি আনন্দের। আজ (১৩ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শুরু হবে এই আয়োজন। ’

চলছে করোনাকাল। তো এ পরিস্থিতিতে কীভাবে সময় পার করছেন? উত্তরে বন্যা বলেন, ‘ভালোই তো। পারিবারিক আবহে সময় কাটাচ্ছি। প্রায় একটা বছরই এভাবে আছি। করোনার আগে তো প্রায়ই অবসরে যাওয়ার চিন্তা করতাম। এখন অবসরেই আছি, কিন্তু কোনও দুর্যোগের গ্লানি নিয়ে অবসর কাটাতে তো চাইনি। ’

আপনি তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের অধ্যাপক এবং নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন? তো বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া হয় কি? জবাবে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, ‘সপ্তাহে দু’একদিন যাওয়া হয়। কর্মস্থলে দু’একদিন যাওয়া হয় বলেই বাসায় সময়টা ভালো কাটে। কারণ, একঘেয়েমি কোনও কিছুই সুখকর হয় না। ’

নতুন কোনও কাজ নিয়ে পরিকল্পনা করছেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে বন্যা বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনও কাজ নিয়ে পরিকল্পনা করছি না। এখন একটাই চাওয়া, যত দ্রুত সম্ভব করোনা আতঙ্ক দূর হোক। মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করুক। ’

after post box 2