সর্বশেষ

অভিষেককে ৭ ঘণ্টা জেরা, শীর্ষ আদালতের রায়ে ‘স্বস্তি’

145
Before post box 1

কলকাতা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের পর এবার শীর্ষস্থানীয় নেতাদের দিকে নজর কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থার (ইডি)। পশ্চিমবঙ্গে অবৈধ কয়লা পাচার কাণ্ডে দিল্লির পর কলকাতায় ইডির অফিসে ডাক পরেছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সংসদ সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

শুক্রবার (২ সেপ্টম্বর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (ইডির দফতর) হাজির হন অভিষেক।

এ নিয়ে এদিন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী থেকে সমর্থক সবাই উদ্বিগ্ন ছিলেন। অনেকের ধারণা ছিল, গ্রেফতার হতে পারেন অভিষেক। কিন্তু জেরা চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সাময়িক স্বস্তি পায় শাসকদল।

আদালত জানান, আগামী সোমবার (৫ সেপ্টম্বর) পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করতে পারবে না ইডি। ফলে দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা ইডির জেরার মুখোমুখি হওয়ার পর ছাড়া পান অভিষেক।

middle of post box 3

ইডি অফিস থেকে বের হয়ে মুখ্যখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাতিজা অভিষেক সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে আজ ডেকেছিল। আমি ওনাদের বলেছি, আপনারা (ইডি) যখন ডাকবেন আমি আপনাদের সহযোগিতা করব। আমি আজকে এই নিয়ে তৃতীয়বারে জন্য এখানে এসেছি। গত দু’বার দিল্লিতে দেখা করেছি। এখন কলকাতা হাইকোর্টের অর্ডারে কলকাতায় দেখা করলাম।

এরপরই তৃণমূল সাংসদ বলেন, ইডি-সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে যারা স্বার্থ চরিতার্থ করতে চান, তাদের বলতে চাই, আমি আমার অবস্থানে অনড় থাকব। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব। কিন্তু ইডি-সিবিআইয়ের কাছে মাথা নোয়াব না। আপনারা যতবার ডাকবেন আমি আসব।

প্রসঙ্গত, এর আগে এই মামলায় গত ২৩ জুন কলকাতার ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুত্রসন্তানকে কোলে নিয়ে ইডি দফতরে গিয়েছিলেন রুজিরা। তবে তারও আগে অভিষেকের বাড়িতে গিয়ে রুজিরাকে একবার জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছিল সিবিআই। তাছাড়া কয়লা কাণ্ডে অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। যদিও মেনকা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে বলেছিলেন, তাকেও যেন কলকাতায় জেরা করা হয়। এরপর গত বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেন, মেনকাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে, কলকাতাতেই করতে হবে।

তবে সুপ্রিম কোর্ট আগামী সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে কি রায় দেন সেদিকেই নজর থাকবে রাজ্যবাসীর।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে সম্পত্তির পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বাড়ল কী করে- এই প্রশ্নে সম্প্রতি রাজ্যের শাসকদলের ১৯ জন নেতামন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। তারই মধ্যে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে নিয়ে ইডির টানাপোড়েন।

after post box 2