সর্বশেষ

লেখক-সাংবাদিকরাই আলোর পথের অভিযাত্রী

145
Before post box 1

 

অধ্যক্ষ এম সোলাইমান কাসেমী : একটি জাতিকে সুন্দর ও সভ্য করার পেছনে লেখক-সাংবাদিকদের ভূমিকা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। যিনি লেখেন, তিনিই লেখক। অন্যদিকে যিনি সংবাদ উপস্থাপনা,সংগ্রহ করেন তিনিই সাংবাদিক। লেখক এবং সাংবাদিক পরস্পরের পরিপূরক। শাব্দিক অর্থে পার্থক্য থাকলেও কাজ, দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদির ভিত্তিতে তারা এক অভিন্ন। মহান ও মহৎ লক্ষ্যে তাদের এগিয়ে চলা। সমাজের ন্যায়-অন্যায়, ভাল-মন্দ, সুবিধা-অসুবিধা ইত্যাদি সূক্ষ্মভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ও লেখনীর মাধ্যমে উপস্থাপন করে ভাল দিক গ্রহণ এবং খারাপ দিক বর্জনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বসমূহ পালন করেন লেখক-সাংবাদিকরা। সহজে বলা যায় লেখক-সাংবাদিকরাই সমাজের দর্পণ, আলোর পথের অভিযাত্রী।

আরও পড়ুন

মহান বিজয় দিবস ও আমাদের প্রত্যাশা

বিশ্ব ব্যাংকে চাকরি, নিয়োগ বাংলাদেশে

যেসব কারণে দুর্ভিক্ষ নেমে আসে

middle of post box 3

লেখক-সাংবাদিকরা হচ্ছেন জাতির বিবেক বা কণ্ঠস্বর। সমাজে বিদ্যমান যাবতীয় অনাচার, বঞ্চনা, বৈষম্য, নিপীড়ন সর্বোপরি অসঙ্গতি তারা তাদের লেখনীর নিপুণতা পাঠকের কাছে তুলে ধরেণ। সামাজিক অবক্ষয় ও নষ্ট হয়ে যাবার যে প্রবণতা সর্বত্র বিরাজমান তা থেকে উত্তরণে পথ নির্দেশকের ভূমিকা পালন করেন কলম সৈনিকরা। যাদের লেখনীতে ফুটে উঠে সমাজ সংসারের বাস্তব চিত্র। যাপিত জীবনে যত অনিয়ম ও অসুন্দরের রাজত্ব তা এই লেখক সাংবাদিকদের ক্ষুরধার লেখনীতে ভেসে ওঠে। এর সমান্তরালে সুকুমার মনোবৃত্তি, মেধা-মননশীলতার উৎকর্ষতা জাতি গঠনে নিয়ামক ও কল্যাণকর চিন্তাধারার সার্থক প্রকাশ ঘটায় ।

অথচ লেখক-সাংবাদিকরা তাঁদের অবদানের যথার্থ মূল্যায়ন থেকে অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত হন। সামাজিক বাস্তবতায় অনেকে অবহেলা বা উপেক্ষার শিকারও হন। বাংলাদেশে এমন অনেক প্রতিভাধর লেখক, সাহিত্যিক, কবি, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক রয়েছেন যাদের অবস্থান পাদ-প্রদীপের আলো থেকে অনেক দূরে। যাদের অবস্থান প্রান্তিক কিংবা তৃণমূল পর্যায়ে। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত প্রাচ্যের রাণী চট্টগ্রামও এর থেকে ব্যতিক্রম নয়। আশা করি সমাজের অশুভ, অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কলম সৈনিকরাই বিজয়ী হবে। ফলে দেশে একটি বাস্তবমুখী ও সুখীময় সমাজ উপহার দিতে পারবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

লেখক: সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম লেখক-সাংবাদিক ফোরাম।

 

after post box 2