সর্বশেষ

এক ব্যক্তিই মেজর-র‌্যাব-পুলিশ!

131
Before post box 1

 

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাছ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. ইলিয়াস (৫১) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)। তিনি নিজেকে মেজর-র‌্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করতেন।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) ইলিয়াসকে আটক করা হয়। এর সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া নগদ ১০ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় র‍্যাব-১০’র সহকারী পরিচালক (এএসপি) এনায়েত কবীর শোয়েব বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।

middle of post box 3

শোয়েব জানান, যাত্রাবাড়ীর মাছবাজার এলাকায় বুধবার র‌্যাব-১০ সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে মেজর-র‌্যাব-পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণাকারী ইলিয়াস আটক হন। তিনি গত রোববার (১৩ নভেম্বর) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মো. ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে লুট করেন। ফারুকের কাছে ইলিয়াস নিজেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. রেজাউল হিসেবে পরিচিত করেন।
পরে ঢাকা থেকে মাদারীপুর বদলিজনিত কারণে তার বাসার মালামাল স্থানান্তর করার জন্য একটি পিকআপ ১২ হাজার টাকায় ভাড়া করেন। এরপর সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ডে শ্যামলী কাউন্টারের সামনে আসতে বলেন। ভুক্তভোগী ফারুক তার কথামতো সেখানে এলে আসামী ইলিয়াস চেক ভাঙিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে লেবারের মজুরির টাকা দেওয়ার কথা বলে ২৬ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।

আটক ইলিয়াস বিভিন্ন পিকআপ, মিনি-ট্রাক ও ট্রাক চালকদের কাছ ফোন করে নিজেকে কখনও মেজর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং কখনও র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয় দিতেন। মালামাল পরিবহনের উদ্দেশ্যে পিকআপ, মিনি-ট্রাক ও ট্রাক ভাড়া করতেন। পরে সুবিধাজনক স্থানে ডেকে এনে চালকদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতেন।

ইলিয়াসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে। ভুক্তভোগী ফারুকও তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে জানা র‌্যাব কর্মকর্তা এনায়েত কবীর শোয়েব।

after post box 2