সর্বশেষ

শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আশা বাঁচিয়ে রাখল জার্মানি

145
Before post box 1

 

middle of post box 3

নিউজ ডেস্ক :: দুটি বড় দলের ম্যাচে রোমাঞ্চ-নাটকীয়তা থাকবে না তা কী করে হয়! প্রথমার্ধে যা দেখা গেল, দ্বিতীয়ার্ধে সেটা যেন বিপরীত। দুই দলের দ্বৈরথে শেষ পর্যন্ত কারোরই জয় হলো না। তবে জম্পেশ এক ম্যাচ হয়েছে, সেটা তো অন্তত বলাই যায়। যে ম্যাচে স্পেনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে কাতার বিশ্বকাপে শেষ ষোলো রাউন্ডে খেলার আশা টিকিয়ে রাখল জার্মানি।শেষ মুহূর্তে নিকলাস ফুলক্রুগ ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভুত না হলে অবশ্য খাদের কিনারায় পড়ে যেত চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রথম দুই ম্যাচে কোনো জয় পেল না দলটি। ম্যাচের দুটো গোলই এসেছে বদলি খেলোয়াড়ের হাত দিয়ে। আল বায়িত স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধটা অবশ্য ছিল ম্যাড়মেড়ে। তবে আন্তোনিও রুদিগার অফসাইডে কাটা না পড়লে হয়তো এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যেত চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ৪০ মিনিটে ইয়োশুয়া কিমিখের ফ্রি-কিক থেকে নিখুঁত হেডে জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছিলেন রুদিগার। কিন্তু কিমিখের শট নেওয়ার সময় অফসাইডে ছিলেন তিনি। ভিএআরের সংকেত পেয়ে রেফারিও তাই গোল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। খেলার শুরুতে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরী করে স্পেন। কিন্তু ডি বক্সের সামনে আসতেই খেই হারিয়ে ফেলে। পাল্টা আক্রমণে যায় জার্মানিও। কিন্তু নিশানা ঠিক না থাকার কারণে তারাও খুব একটা ভয়ঙ্কর হতে পারেনি। ৪৫ মিনিট শেষে দুই দলই গোলমুখে কেবল একটি শট নিতে পারে। যদিও বল পজেশনে বেশি এগিয়ে ছিল স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৯ মিনিটে মেয়ের প্রেমিক তোরেসকে তুলে আলভারো মোরাতাকে মাঠে নামান স্পেন কোচ লুইস এনরিকে। তার সেই সিদ্ধান্ত সফলতায় রুপ নিতে সময় নেয় মাত্র ৮ মিনিট। সাব থেকে মোরাতা হয়ে ওঠেন ‘সুপার সাব’। জর্দি আলবার ক্রস থেকে বক্সের ভেতর দারুণ দক্ষতায় স্পেনকে এগিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড। গোল ঠিকমতো হজম করে উঠার আগেই আবারও স্প্যানিশদের আক্রমণ সামলাতে হয় জার্মানিকে। যদিও এবার সফল হননি মোরাতে। দলের নাজেহাল অবস্থা থেকে ৭০ মিনিটে তিন খেলোয়াড়কে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জার্মান কোচ ফ্লিক। বদলি হিসেবে নামা সেই তিন জনের একজন ছিলেন নাম্বার নাইন ফুলক্রুগ। তাতে ধার বাড়ে আক্রমণে। দলের সবচেয়ে প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়াড় জামাল মুসিয়ালা ছন্দে থাকলেও তাকে কোনোভাবেই সুযোগ দিচ্ছিলেন না স্পেনের ডিফেন্ডাররা। সেই মুসিয়ালার থেকে বল নিয়ে ৮৩ মিনিটে জার্মানিকে হাফ ছেড়ে বাঁচান ফুলক্রুগ। বক্সের ভেতর থেকে দুর্দান্ত এক শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন এই স্ট্রাইকার। যা ঠেকানোর পর্যাপ্ত সময়ও পাননি স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমোন। শেষ দিকে জয়ের জন্য আরো মরিয়া হয়ে উঠে জার্মানরা। কিন্তু কিমিখ-ফুলক্রুগরা চেষ্টা করেও কাঙ্খিত গোলের দেখা পাননি। এই ড্রয়ে অবশ্য ‘এফ’ গ্রুপের তলানিতেই আছে জার্মানরা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে জাপানের কাছে ২-১ গোলে হারের পর পয়েন্ট পাওয়াটা ছিল অত্যাবশক। শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে হলে পরের ম্যাচে কোস্টারিকাকে হারাতেই হবে তাদের। দুই ম্যাচের চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে স্পেন। সমান তিন পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে জাপান ও তিনে রয়েছে কোস্টারিকা।

 

after post box 2