সর্বশেষ

ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুল চিটাগাং’র উদ্যোগে পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন

110
Before post box 1

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বন্দর নগরী চট্টগ্রামের পূর্ব নাসিরাবাদস্থ ২নং গেইটে অবস্থিত ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুল চিটাগাং’র উদ্যোগে পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠিত হয়। ১২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় অধ্যক্ষ আসাদ আদিলের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষক ফখরুল আবেদীন’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার প্রফেসর ড. বি এম মুফিজুর রহমান আজহারী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পিএইচডি গবেষক মাওলানা এম সোলাইমান কাসেমী, স্কুল পরিচালনা পরিষদের সদস্য আনিস উদ দৌলা, নাছির উদ্দিন, আবুল হোসাইন মোল্লা, কো-অর্ডিনেটর হিজবুন নাহার, মতলুবা নাসরিন, নার্গিস আকতার, রুমানা আক্তার, মাকসুরা জাহান, ফাহমিদা কাউনাইন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বদরুল আহসান, মোহাম্মদ আশরাফ প্রমুখ। পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন অনুষ্ঠানে স্কুলের শিক্ষার্থীরা মহানবী (সা.) এর শানে বিভিন্ন ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আসাদ আদিল বলেন, মহানবী (সা.) গোটা সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ মানবজীবনের সকল ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান।

middle of post box 3

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা এম সোলাইমান কাসেমী বলেন, মহানবী (সা.) শিশুকাল থেকে ছিলেন শান্ত, নম্রভদ্র ও সৎচরিত্রবান। সত্যবাদিতার কারণে সে সময়ের লোকেরা তাঁকে আল-আমীন উপাদিতে ভূষিত করেছিলেন। যুবককালে তিনি সমাজের কল্যাণে ব্রতী ছিলেন। সেই সাথে তিনি সবাইকে মা-বাবার খেদমত করার অনুরোধ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড.বি এম মুফিজুর রহমান আজহারী বলেন, সমসাময়িকদের সঙ্গী বানিয়ে তৎকালীন সময়ে ‘হিলফুল ফুজুল’ নামক একটি সমাজকল্যাণ সংস্থা গঠন করেছিলেন। এই সংস্থার মাধ্যমে সমাজে শন্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। ৪০ বছর বয়সে রাসূল (সা.) আল্লাহর পক্ষ থেকে নবুওয়াত প্রাপ্ত হন। নবুওয়াত প্রাপ্তির পর তিনি মানুষকে কালেমার দাওয়াত দিতে লাগলেন। সর্বপ্রথম পরিজন ও নিকটজনদের মাঝে ঘোষণা করলেন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।” অর্থাৎ- “আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই, হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল।” মানুষকে বুঝালেন, এই কথাটি মুখে স্বীকার করা, অন্তরে বিশ্বাস করা এবং আল্লাহ তায়ালার বিধি-নিষেধ মেনে চলার মধ্যেই ইহ-পরকালীন সুখ-শান্তি নিহিত রয়েছে। এভাবে কালেমার বাণী প্রচার করে মানুষকে দ্বীনের পথে আহবান করেন। তিনি আরও বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন।

after post box 2