সর্বশেষ

সিত্রাং-এর দ্বিতীয় দিনেও ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী

134
Before post box 1

 

নিউজ ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজধানীতে সোমবার থেকে মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে মুষলধারে। এতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা, কোথাও কোথাও উপড়ে পড়ে গাছ।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে বৃষ্টি নেই। রোদের দেখা মিললেও আগের বৃষ্টির পানি রয়েছে অনেক সড়কে।

তবে চেষ্টা চলছে ভেঙে যাওয়া গাছ সরানোর।
মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, পল্টন, পূর্ব তেজতুরী বাজার, মহাখালী, ধানমন্ডি, বনানী, বাড্ডা, পুরান ঢাকার অনেক জায়গা, যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো পানি জমে আছে।

আগেরদিন রাত পর্যন্তও ছিল যানজট। সেই অবস্থাও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে মঙ্গলবার। উত্তরা ছাড়া রাজধানীর অন্য এলাকাগুলোতে যানজট তেমন নেই। অধিকাংশ মানুষ জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না।

middle of post box 3

বৃষ্টিতে মোটরসাইকেল নষ্ট হয়ে বিপাকে পড়া যাত্রী মেহেদী হাসান শোভন বলেন, মিরপুর রূপনগর আবাসিক থেকে রেডিসন হোটেলের সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে বাইকটি বন্ধ হয়ে যায়। বাইকে সিডিআর ডিভাইসে পানি লাগাতে বাইক স্টার্ট হচ্ছিল না। পরে মেকানিক ঠিক করে দেয়। তারপর খামারবাড়ি হয়ে ভেতর দিয়ে যখন স্কয়ার হাসপাতাল উঠবো ঠিক তখনই নিজেকে আবিষ্কার করলাম কোমর পানিতে বাইক ডুবে গিয়েছে।

তারপর কাছাকাছি কোনো সার্ভিসিং সেন্টার না পেয়ে ঠেলতে ঠেলতে বিজয় সরণি সিগন্যাল পর্যন্ত নিয়ে দুই হাজার টাকা দিয়ে ঠিক করানো হলো। ২০ বছর ঢাকা বসবাসে আজকের দিনে রাস্তায় সবচেয়ে বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন এ মোটরসাইকেল চালক।

মহাখালী এলাকায় অফিস করেন শাহরিয়ার হোসেন। তিনি বলেন, মহাখালী এলাকায় এখনো পানি আটকে আছে।

অনির্বাণ বিশ্বাস নামে এক যাত্রী বলেন, মোহাম্মদপুর বসিলা এলাকায় রাস্তায় মাঝে মাঝে পানি জমে আছে। তবে গতকালের থেকে পানি কম এখন।

বেসরকারি চাকরিজীবী শোয়েব হাসান বলেন, চাকরি করি বলে বাইরে এসেছি। ফুটপাতের যে বেহাল দশা ঠিকমতো হাঁটাও যায় না।

হাসান আহমেদ নামে এক ব্যক্তি জানান, কামরাঙ্গীচড় থেকে সায়েন্সল্যাবে রিকশায় অফিস যেতে ৮০ টাকা রিকশা ভাড়া লাগে। রাস্তায় পানি এজন্য ডাবল ভাড়া চাচ্ছেন রিকশাওয়ালারা। আবার অনেকে যেতেও চাচ্ছেন না। অফিসে তো যেতে হবে। কিছুই করার নেই। বেশি ভাড়া দিয়েই যেতে হবে।

after post box 2