সর্বশেষ

সন্তানের বাড়ন্ত বয়সে যা শেখাবেন

93
Before post box 1

 

লাইফস্টাইল ডেস্ক :: অনেক সময় গুরুজনদের বলতে শোনা যায়, মানুষের মতো মানুষ হও। শিশুর সুন্দর আচরণ তার মধ্যে মানবিকতা, আত্মবিশ্বাস, সামাজিকতাসহ আরও বেশ কিছু অসাধারণ গুণে গড়ে তোলে।

তাই শিশু বড় হওয়া সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভালো আচরণ শেখানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের বাড়ন্ত বয়সে শেখানো উচিত এমন কিছু মৌলিক আচরণ নিয়েই আজকেরএ প্রতিবেদন।

সহযোগিতা: ছোটবেলায় কোনও শিশু যদি যথাযথ শিক্ষা পায়, তবে অনেকটাই সহজ হয় এই মানুষের মতো মানুষ হওয়ার পথ। শৈশব থেকেই কিছু কিছু গুণ রপ্ত করতে সহযোগিতা করা হবে সন্তানকে।

সহমর্মিতা ও সহযোগিতার মতো গুণ ছোটবেলা থেকেই তৈরি হওয়া বাঞ্ছনীয়। এগুলো এমন অপরিহার্য মানবিক বৈশিষ্ট্য যা সমাজকে সম্প্রীতির দিকে চালিত করে। সহযোগিতা ও সহমর্মিতা ছাড়া কোনও মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বাঁচতে পারে না।

আরও পড়ুন
middle of post box 3

ভাগ করে নিতে শেখা: মানুষ সামাজিক জীব। সন্তানকে শেখান, সমাজের এক জন সদস্য হিসেবে তোমার জন্য যা প্রাপ্য, তা বন্ধু ও স্বজনদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া উচিত। এতে শিশুমনে দ্বেষ ও লোভ জন্ম নিতে পারে না।

শুনতে শেখা: ছোট থাকতেই শিশুকে শেখান তোমার যেমন মতামত প্রকাশ করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই অন্যরা যা বলছেন তা মনযোগসহ কারে শোনাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। ছোট থেকে অন্যের মতামত ও ভাবনার স্বাধীনতাকে সম্মান করতে শেখা।
সামাজিকতা: শিশুদের শেখানো দরকার কীভাবে অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করতে হয়। অন্যের কথার মাঝে বাধা না দেওয়া এবং অন্যের মতামতকে সম্মান করতে শেখাতে হবে ছোট থেকেই।

চাপ সামলা শেখা: ছোট থেকেই সন্তানকে শেখাতে হবে, সুখ ও দুঃখ হাত ধরাধরি করেই চলতে হয়। কোন বিষয় মনকে ভারাক্রান্ত করলেও, নিজেকে শান্ত রাখা এবং চাপে কাবু না হয়ে পড়লে তবেই সেই চাপ অতিক্রম করা যায়।

একে-অপরকে অনুপ্রাণিত করা: অনুপ্রেরণা শুধু নিজের নয়, অন্যদের জন্যেও জরুরি, এই কথা শিশুদের ছোট থেকেই শেখানো জরুরি। ছোট থেকেই এই শিক্ষা পেলে কঠিন সময়ে ভেঙে পড়বে না সন্তান।

অন্যদের নিয়ে মজা না করা: সবাই নিজের মতো করে সুন্দর। অনেক সময় ছোটরা না বুঝেই সহপাঠীর কোনো দুর্বলতার জায়গায় আঘাত করে ফেলে। তাই সন্তানকে শেখান, যে যখন যাই বলুক না কেন, কারও সম্পর্কে কখনও কোনো অবমাননাকর মন্তব্য করা উচিত নয়।

after post box 2