সর্বশেষ

দেশে ৩ জনের শরীরে মিলল করোনার নতুন উপধরন

102
Before post box 1

ঢাকা: বাংলাদেশি তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের নতুন উপধরন 22D:Omicron/BA.2.75 শনাক্ত হয়েছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের গবেষণায় তাদের শরীরে এ উপধরন (সাব-ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত হয়।

 

 

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক যশোরের আক্রান্ত তিন ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত ভাইরাসের আংশিক (স্পাইক প্রোটিন) জিনোম সিকুয়েন্সের মাধ্যমে করোনার নতুন এই উপধরনটি শনাক্ত করেন।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আব্দুর রশিদ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

যবিপ্রবির গবেষক দলটি জানায়, আক্রান্ত তিনজনই পুরুষ। যাদের একজনের বয়স ৫৫ এবং বাকি দুইজনের বয়স ৮৫ বছর। আক্রান্তদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং অন্যরা বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তদের শরীরে জ্বর, গলাব্যথা, সর্দি-কাশিসহ মৃদু উপসর্গ রয়েছে।

middle of post box 3

গবেষক দলটি আরও জানায়, BA.2.75 সাবভ্যারিয়েন্টে স্পাইক প্রোটিনে ওমিক্রনের BA.2 ভ্যারিয়েন্টের মতোই মিউটেশন দেখা যায়। তবে তার সঙ্গে দুটি রিভার্সন মিউটেশন G446S এবং R493Q দেখা যায়। ওমিক্রনের এই উপধরনটি জুলাই মাসে ভারতে প্রথম শনাক্ত হয়েছে।

এছাড়া গত আগস্ট মাসে এই উপধরনটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হয়। ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিরাও এই উপধরন আক্রান্ত হচ্ছেন। আগামী দিনে এই উপধরন বর্তমানে সংক্রমণশীল অন্যান্য উপধরনের তুলনায় বেশি সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।

করোনাভাইরাসের এই নতুন উপধরন শনাক্তের বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য ও জেনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এই উপধরনটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সহজেই ফাঁকি দিতে সক্ষম। এ জন্য মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি জানান, অচিরেই পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকুয়েন্স করে এ বিষয়ে আরও তথ্য জানা সম্ভব হবে এবং এই উপধরন শনাক্তকরণের কাজ জিনোম সেন্টারে অব্যাহত থাকবে।

যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে করোনার নতুন এই উপধরন শনাক্ত হয়। গবেষক দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান মো. আল-ইমরান, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম, ড. সেলিনা আক্তার, ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, জিনোম সেন্টারের গবেষণা সহকারী প্রশান্ত কুমার দাস, মো. আলী আহসান সেতু প্রমুখ।

after post box 2