সর্বশেষ

৭০ রানের দারুণ ইনিংস খেলা সাকিবকে ফিরিয়েছেন সাউদি

119
Before post box 1

 

স্পোর্টস ডেস্ক ::টানা দুই হারে ফাইনালে যেতে না পারার শঙ্কাটা প্রবলই ছিল। তবে কাগজে কলমে একটা সম্ভাবনা টিকে ছিল বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৮ রানের বিশাল হারে সেই সম্ভাবনাটাও শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে সাকিব আল হাসানের দলের।
সাকিব আল হাসান যেভাবে খেলেছেন, আরেকজন ব্যাটার এমন খেলতে পারলে হয়তো ভিন্ন কিছুই হতো। কিন্তু সেই কাজটা কেউ করতে পারলেন না। ফলে অধিনায়কের লড়াইয়ের পরও নিউজিল্যান্ডের কাছে ৪৮ রানের বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ। ৭০ রানের দারুণ ইনিংস খেলা সাকিবকে ফিরিয়েছেন সাউদি। তার বিদায়ে দলীয় ১৫৩ রানে পতন হয় সপ্তম উইকেটের। তার পর নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ থেমেছে ১৬০ রানে। মোসাদ্দেক ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন, সাইফ ছিলেন ৩ রানে। কিউই বোলারদের মধ্যে ২৪ রানে ৩ উইকেট পেসার অ্যাডাম মিলনের। ৩৬ রানে দুটি নেন টিম সাউদি। ৩৯ রানে আজকেও ২টি নিয়েছেন স্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েল। ম্যাচসেরা ছিলেন শেষ দিকে তাণ্ডব চালানো গ্লেন ফিলিপস।

রান তাড়ায় নেমে দুই বার জীবন পেয়েও নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরে গেছেন ১১ রানে। এরপর লিটন দারুণ কিছু শট খেলে হন ব্রেসওয়েলের শিকার। ১৬ বলে ২৩ করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তবু ২ উইকেটে ৫২ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

তৃতীয় উইকেটে সৌম্য সরকার আর সাকিব আল হাসান ২৭ বলে যোগ করেন ৪৩ রান। দারুণ গতিতে ছুটছিল জুটিটি। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে সৌম্যও খেলছিলেন বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। কিন্তু দশম ওভারের শেষ বলে মিলনের শর্ট বলের ফাঁদে পা দেন সৌম্য। থার্ডম্যানে তুলে দেন ক্যাচ। ১৭ বলে ২৩ রানের ইনিংসটি শেষ তাতেই। এরপর আফিফ হোসেন ৪ বলে ৪ রান করে বিদায় নেন ব্রেসওয়েলের ঘূর্ণিতে।

পর হতাশ করেছেন নুরুল হাসান সোহানও (২)। ৬ রান করে ফিরে যান ইয়াসির রাব্বিও। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ হন একদম বাউন্ডারির দড়িতে। তবে ৩৩ বলে ফিফটি করা সাকিব খেলেছেন অধিনায়কের মতোই। অনেকটা সময় পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি।

middle of post box 3

এর আগে টাইগার বোলারদের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২০৮ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। ভয়ংকর চেহারায় হাজির হন ফিন অ্যালেন। ২৫ বলে তিনি ৪৫ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ের সঙ্গে।

মারমুখী ব্যাটিং করা অ্যালেনকে পঞ্চম ওভারে অবশেষে ফেরান শরিফুল ইসলাম। টাইগার পেসারকে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ইয়াসির রাব্বির দুর্দান্ত ক্যাচ হন কিউই ওপেনার (১৯ বলে ৩২ রান)। তবে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৫৪ রান তোলে নিউজিল্যান্ড।

এরপর ঝড় তোলেন কনওয়ে, ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন কিউই ওপেনার। মার্টিন গাপটিলের সঙ্গে ৫৪ বলে ৮২ রানের আরেকটি জুটি গড়েন তিনি। গাপটিল ঠিক হাত খুলে খেলতে পারছিলেন না। ১৪তম ওভারে এবাদত হোসেনের ফুলটস বলে হাঁকাতে গিয়ে লংঅন বাউন্ডারিতে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ হন তিনি (২৭ বলে ৩৪)।

১৭তম ওভারে এসে জোড়া উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ওভারের প্রথম বলেই তাকে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে শান্তর হাতে ধরা পড়েন কনওয়ে। ৪০ বলে ৬৪ রান করেন কিউই ওপেনার। দুই বল পর সাইফউদ্দিন দারুণ এক ডেলিভারিতে স্টাম্প ভাঙেন নতুন ব্যাটার মার্ক চ্যাপম্যানের (২)।

তবে এরপর গ্লেন ফিলিপস বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন। ১৯ বলেই ফিফটি পূরণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত তিনি ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে বোল্ড হন এবাদতের বলে। তবে ২৪ বলে ২ চার আর ৫ ছক্কায় ৬০ রানের তাণ্ডবে যা করার তা করে দিয়েই গেছেন। সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ৩৭ আর এবাদত ৪০ রানে নেন দুটি করে উইকেট।

 

after post box 2