সর্বশেষ

জঙ্গি ছিনতাই: কনস্টেবল আজাদ সাময়িক বরখাস্ত

130
Before post box 1

 

middle of post box 3

নিউজ ডেস্ক : চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের মুখে-চোখে স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যের নাম নুরে আজাদ। ঘটনার দিন তার মুখে-চোখে স্প্রে করে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় সঙ্গীরা।
রোববার (২৭ নভেম্বর) ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় নুরে আজাদসহ সাত পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। উপকমিশনার জসিম আরও জানান, ওই ঘটনার পর গতকাল শনিবার দায়িত্বে যোগ দেন নুরে আজাদ। ঘটনার দিন তার সঙ্গে চার পুলিশ সদস্য ডিউটিতে ছিলেন। কিন্তু তিনি একাই চার জঙ্গিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ডিউটিতে চারজন থাকা সত্ত্বেও তিনি একাই কেন চার জঙ্গিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তা তদন্তের বিষয়। কমিশনার মহদোয়ের নির্দেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের অপর সদস্যরা হলেন- সিএমএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনচার্জ (এসআই) নাহিদুর রহমান ভূঁইয়া, আসামিদের আদালতে নেওয়ার দায়িত্বরত পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনস্টেবল শরিফ হাসান, জয়নাল ও আব্দুস সাত্তার। উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে পিপার স্প্রে করে মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নেয় তাদের সঙ্গীরা। এ ঘটনায় রাতে ২০ জঙ্গিকে আসামি করে মামলা করেন পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ। রাতেই ১০ জঙ্গির ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া। তার অনুমতিতে এ ছিনতাই অপারেশন পরিচালনা করেন সংগঠনের সামরিক শাখার প্রধান মশিউর রহমান ওরফে আইমান।

after post box 2