সর্বশেষ

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন আইজিপির দায়িত্ব গ্রহণ

158
Before post box 1

নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশ পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি বিদায়ী আইজিপি বেনজীর আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হলেন। চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন সর্বশেষ এ্যালিট ফোর্স র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।

বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পৌঁছলে একটি সুসজ্জিত পুলিশের একটি দল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়। পরে নতুন আইজিপিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

middle of post box 3

নবনিযুক্ত আইজিপি দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যান। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে তিনি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর তিনি রাজারবাগে পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীর পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জানা যায়, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিসিএস ৮ম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকসহ (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। ২০১৯ সালের মে মাসে তিনি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পান। এর আগে তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে তাকে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে মনোনীত করা হয়। এ প্রেক্ষিতে দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় র‍্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) অষ্টম মহাপরিচালকের দায়িত্বভার শেষ করেন ২৯ সেপ্টেম্বর।

আবদুল্লাহ আল-মামুন ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে র‍্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। র‌্যাব মহাপরিচালক হিসেবে সহিংস উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কর্মজীবনে আবদুল্লাহ আল মামুন পুলিশ সদর দফতর, মেট্রোপলিটন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেছেন। পুলিশে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক’ (বিপিএম) ও ‘প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক’ (পিপিএম) পেয়েছেন। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করার মাধ্যমে তিনি বিশ্ব শান্তিরক্ষার জন্য উজ্জ্বল অবদান রেখেছেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত এবং তাঁর চিকিৎসক স্ত্রী সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।

after post box 2