সর্বশেষ

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন মামলার বাদী

149
Before post box 1

 

নিউজ ডেস্ক : প্রথম দফায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় সাক্ষীরা আদালতে না এলেও দ্বিতীয় দফায় সোমবার (৩১ অক্টোবর) মামলার বাদী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোজাফফর আহম্মদ হেলালী।

তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর প্রথম দিন মামলার বাদী নিহত মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিবুল্লাহর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) একইভাবে নুরুল আলম ও সাব মাঝি মো. হামিদের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে।

middle of post box 3

এর আগে গত ১১ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন মামলায় সাক্ষীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় সোমবার (৩১ অক্টোবর) সাক্ষ্য গ্রহণে জন্য দিন ধার্য করেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।
তিনি আরও জানান, আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৪ আসামিকে আদালতে আনা হয়।

তাদের উপস্থিতিতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
মামলার বাদী আদালতে জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য জোরালোভাবে ভূমিকা পালন করায় সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে তার ভাই মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে।

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ১-ইস্ট নম্বর ক্যাম্পের ডি ব্লকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে মুখোশধারী বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সাড়ে আট মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়া থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দীন ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সাতজনের নাম-ঠিকানা সঠিক পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্যও আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে ৩৮ জনের নাম ও ঠিকানা সাক্ষীর তালিকায় রয়েছে। আদালত শুনানি শেষে চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ২৯ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন। ওইদিন আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য ছিল।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার সহায়তায় বর্তমানে মুহিবুল্লাহর পরিবারের ২৫ জন সদস্য কানাডায় বসবাস করছেন।

after post box 2