সর্বশেষ

জোয়ারের শঙ্কায় চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলের মানুষ

118
Before post box 1

 

middle of post box 3

নিউজ ডেস্ক : রাতভর ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টি, জোয়ারের পানির শঙ্কায় কেটেছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দেখানো ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ কাটলেও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলের মানুষ এখনো জোয়ার কিংবা জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায়। তবে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে দেখা গেছে, উত্তাল সাগর ভোরের আলো ফুটতেই অনেকটা শান্ত। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে ঝলমলে চট্টগ্রামের আকাশ। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার রাত শেষে কর্মচাঞ্চল্য ফিরছে নগরে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করায় সড়কে মানুষ ও যানবাহনের আনাগোনা কম। কর্মস্থলমুখী মানুষেরই দেখা মিলছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকেও কিছু মানুষ ঘরে ফিরেছেন। তবে এখনো স্বাভাবিক হয়নি চট্টগ্রাম বন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী নিউজটিভিবিডিকে বলেন, সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। ৩ নম্বর সংকেত দেখানো হয়েছে সমুদ্রবন্দরগুলোকে। কর্ণফুলী নদীতে জোয়ার এসেছে সকাল ৭টা ৫ মিনিটে, যা চলবে ১২টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত। আবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে জোয়ার আসবে। জোয়ারের উচ্চতা ৪ দশমিক ৮ মিটারের বেশি হতে পারে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝড়ো হাওয়ায় নগর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়েছে। অনেকের কাঁচা ঘর ভেঙে গেছে। রাতে জোয়ারের পানি ঘরে ঢুকেছে নিম্নাঞ্চলের অনেক ঘরে। পতেঙ্গা, খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, আছাদগঞ্জ, পাথরঘাটা, কাট্টলী, বাকলিয়া, ফিরিঙ্গিবাজার, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ নিম্নাঞ্চলের কিছু সড়কেও পানি উঠেছিল।

 

after post box 2