সর্বশেষ

বাকলিয়ায় আলো ছড়াচ্ছে প্রদীপের প্রোজ্জ্বল পাঠাগার

153
Before post box 1

 

middle of post box 3

নিজস্ব প্রতিবেদক :: মানুষের বেশভূষাকে সুন্দর করাই তার কাজ অর্থাৎ নরসুন্দর তিনি। কিন্তু নিজের সুন্দর মনকেও সাজিয়েছেন কাব্যের সুষমায়। ইতোমধ্যে লিখেছেন নয়টি কবিতার বই। নিজের সেলুনেই খুলেছেন বিশেষ পাঠাগার। যাতে চুল কাটাতে এসে অপেক্ষমাণ মানুষেরা বই পড়তে পারেন। চট্টগ্রামে এমন এক সেলুনের পাঠাগারে আছে পাঁচ শতাধিক বই।আর্থিক টানাপড়েন আর জীবিকার চাপে প্রাতিষ্ঠানিক লেখা পড়া খুব বেশি এগুতে পারেনি। কিন্তু বই পড়াতে যার ক্লান্তি নেই, তাকে কি আর আটকে রাখা যায়! সেলুনের কাজের পাশাপাশি বইকেই সঙ্গী করে নিয়েছেন প্রদীপ প্রোজ্জ্বল। দু:খময় জীবনে অসংখ্য কষ্ট ভিড় করে আছে প্রদীপের জীবনে। দরিদ্রতা, পড়ালেখা করতে না পারার মতো ব্যক্তিজীবনে অসংখ্য না পাওয়ার বেদনাকে কবিতায় জড়ো করছেন প্রদীপ। জানতে চাইলে প্রোজ্জ্বল পাঠাগারের উদ্যোক্তা প্রদীপ প্রোজ্জ্বল বলেন, মা,ভাই-বোন,স্ত্রী-সন্তানদের নিয়েই এখন আমার সংসার। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছি। কষ্টের মাঝে বড় হয়েছি। সংসার অভাব অনটন লেগেই থাকতো সমসময়। আর্থিক অভাবের কারণে বেশি পড়ালেখা করতে পারিনি। কিন্তু মনের জোর ছিল সবসময়। বিশ্বাস ছিল একদিন আমার সেলুনের ভিতরে পাঠাগার তৈরি করতে পারবো। অবশেষে অনেক সাধনার পর সেলুনকে বানিয়েছি ‘প্রোজ্জ্বল পাঠাগার’। আমার বিশ্বাস এই পাঠাগার সারা বাংলাদেশেও একদিন ছড়িয়ে পড়বে। প্রদীপের এই বিশেষ পাঠাগারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সচেতন নাগরিকরাও। প্রোজ্জ্বল পাঠাগারের পাঠক চট্টগ্রাম টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষক প্রশিক্ষক শামসুদ্দিন শিশির বলেন, নরসুন্দররা মূলত চুল কাটাতেই ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু এই প্রদীপের মাঝে আছে বিশেষ প্রতিভা। একজন নরসুন্দর এবং কম শিক্ষিত হয়েও প্রদীপ গড়ে তুলেছেন পাঠাগার। তার এমন উদ্যোগ একদিন সারা বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়বে।প্রদীপ প্রোজ্জলের জন্ম কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট ডোমখালীতে। জীবিকার তাগিদেই তিনি বেছে নিয়েছেন নরসুন্দরের কাজ। এখন বসবাস করেন চট্টগ্রামের বাকলিয়ার চকবাজার এলাকায়।

 

after post box 2