সর্বশেষ

চট্টগ্রাম বন্দর পুরোদমে সচল

112
Before post box 1

 

নিউজ ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর পুরোদমে সচল হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দরের জেটিসংলগ্ন ইয়ার্ডে কনটেইনার থেকে পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে গভীর সমুদ্র থেকে জাহাজ আসতে শুরু করেছে জেটিতে। এছাড়া বহিঃনোঙ্গর ছেড়ে যাওয়া জাহাজগুলোও বন্দরের সীমানায় ফিরতে শুরু করেছে।

সিত্রাং নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সমুদ্রবন্দরগুলোকে সাত নম্বর বিপদসংকেত নামিয়ে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এরপর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সকাল ৮টা থেকে জেটিতে জাহাজ ভেড়ার এবং কনটেইনার ও খোলা পণ্য ওঠানামার অনুমতি দেয়।

middle of post box 3

বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ‘এমভি হ্যাপি হিরো’ নামে একটি খোলা পণ্যবোঝাই জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় সোমবার দুপুরে জেটি থেকে ১৮টি জাহাজকে গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বন্দরের ৭টি টাগবোটের সহায়তায় জাহাজগুলোকে আবারও বিভিন্ন জেটিতে ফেরত আনা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘সিগন্যাল-সিক্স জারির পর বন্দরে আমরা অ্যালার্ট-থ্রি অর্থাৎ সর্বোচ্চ দ্বিতীয় সতর্কতা জারি করেছিলাম। এজন্য জেটি ও বহিঃনোঙ্গর থেকে শ’খানেক জাহাজ গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আবহাওয়া বিভাগ সিগন্যাল নামিয়ে ফেলার পর এখন আবারও জাহাজ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আস্তে আস্তে জাহাজগুলো জেটিতে আসছে। বহিঃনোঙ্গরেও মাদার ভ্যাসেলগুলো আসতে ‍শুরু করেছে। কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং শুরু হবে। বন্দর এখন পুরোপুরি সচল বলা যায়।’

এদিকে প্রায় ২৪ ঘণ্টা কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন ঘাটে লাইটারেজ জাহাজে পণ্য ওঠানামা শুরু হয়েছে। মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য আনতে বহিঃনোঙ্গরে যাচ্ছে লাইটারেজ জাহাজগুলো।

after post box 2