সর্বশেষ

চিটাগাং চেম্বারের সাথে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি’র প্রতিনিধিদলের মতবিনিময়

121
Before post box 1

নিউজ ডেস্ক :: দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সাথে দিল্লীস্থ কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)’র পরিচালক অমিত কুমার (Mr. Ameet Kumar )’র নেতৃত্বে ৩ সদস্যবিশিষ্ট এক প্রতিনিধিদল ১৭ অক্টোবর বিকেলে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডাঃ রাজীব রঞ্জন, প্রতিনিধিদলের অপর দুই সদস্য সুরেন্দ্র শ্রীভাস্তাভা (Mr. Surendra Srivastava) ও সিদ্দিক আখতার, চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর হাজ্জাজ ও সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, বিডার পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক আশিফুল আলম, রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মোর্শেদুল হক, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম, ইউনিভার্সাল এগ্রো কর্পোরেশন’র স্বত্বাধিকারী মোঃ টিপু সুলতান শিকদার বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন) ও সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক ভারত সফরে সিআইআই’র সাথে অনুষ্ঠিত সভায় এসএমই এবং এমো প্রোডাক্টস ক্লাস্টার মোথ ত্বরান্বিত করতে পারস্পরিক সহযোগিতার উপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন। চিটাগাং চেম্বারে সিআইআই’র সফর ও অনুষ্ঠিত এ সভা এসএমই এবং এগ্রো প্রোডাক্টস ক্লাস্টার গ্রোথ এর প্রেক্ষাপটে উভয়দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে নতুনমাত্রার সম্পর্ক স্থাপন করবে। তিনি আরো বলেন-চট্টগ্রামকে রিজিওনাল ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ডেস্টিনেশন এ রূপান্তরিত করতে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে এ অঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়নের বিপ্লব সাধিত হচ্ছে। মাহবুবুল আলম ভারতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন এক্সিবিশনে বাংলাদেশের এসএমই শিল্পের জন্য ডেডিকেটেড স্পেস রাখাসহ বেসরকারি খাতে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের জন্য সিআইআই’র প্রতিনিধিদলকে আহবান জানান।

middle of post box 3

ভারতের সহকারী হাইকমিশনার ডাঃ রাজীব রঞ্জন বলেন- বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ভারতসহ এতদঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক সহযোগিতা ও নির্ভরশীলতা উভয়দেশের জন্যই দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা প্রদান করবে। তিনি বাংলাদেশের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশসমূহের কানেক্টিভিটি বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য এবং স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ কমপ্রেহেন্সিভ ইকোনমিক পার্টনারশীপ এ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা)’র ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালক অমিত কুমার বলেন- উভয়দেশের মধ্যে এসএমই খাতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই সফর। এর মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানো এবং ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যয় কমানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে উভয়দেশের এসএমই ও এমো খাতকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন অমিত কুমার। চিটাগাং চেম্বারের পক্ষে থেকে চট্টগ্রামের ব্যবসা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি এবং প্রতিনিধিদলের পক্ষ হতে ক্লাস্টার ডেভেলাপমেন্ট ও এমএসএমই সার্পোটার উপর দু’টি আলাদা তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। সকালে চট্টগ্রামে কালুরঘাটে অবস্থিত বিসিক শিল্পনগরে কয়েকটি এসএমই প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন প্রতিনিধিদল।

 

after post box 2